কঙ্কালের কব্জিতে এখনও শাঁখা-পলা, সোনারপুরের বধূকে কেন খুন?

NEWS BAZAR2424:
তিন বছর পরেও খুনের তদন্তে নয়া মোড়। বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে পচছে মৃতদেহ, যাকে লুকিয়ে রেখেছেন তাঁরই স্বামী। খুনের অভিযোগ স্বামীর দিকেই। গত শুক্রবার গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা তাঁকে জেরা করায় তিনি তা স্বীকার করেন। ঘটনাটি সোনারপুরের। সোনারপুরের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন মৃত টুম্পা মন্ডল। যার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে সোনারপুরের ভাড়া বাড়ি থেকেই। শরীরে এখনো শাঁখা পলা নোয়া। সিআইডির গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা এই রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছেন।

ভোম্বল মন্ডল ও তাঁর স্ত্রী টুম্পা মন্ডল কয়েক বছর আগে ভাড়া থাকতে শুরু করেন সোনারপুরের মিলন পল্লী এলাকার একটি বাড়িতে। বাড়ির মালিকের নাম রুপালি মল্লিক। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে জানা যায় ওই দম্পতি তাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতে এসেছিলেন ২০২০ সাল থেকে। দু মাসের জন্য তাঁরা ভাড়া ছিলেন কারণ দম্পতিদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া লেগে থাকত যে কারণে বাড়িওয়ালা রুপালি মল্লিককে ডেকে এনেছিলেন তাদের প্রতিবেশীরা। তারপরেই তাঁরা সেখান থেকে ভাড়া উঠে যায়। জানা যায় শ্রী টুম্পা মন্ডলকে ২০২০ সালের মার্চ মাসে খুন করে লুকিয়ে রাখেন ভোম্বল মন্ডল।

বিগত তিন বছর ধরে সেখানেই টুম্পার মৃতদেহ পচছে, যার সন্ধান পাননি কেউই। শ্বাসরোধ করে মৃত্যু হয়েছে টুম্পার। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন ভোম্বল মন্ডল। তবে বাড়িওয়ালার কথায় যেটুকু জানা যায় টুম্পা সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকতেন । তাই গোয়েন্দাদের অনুমান বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় এহেন পরিণতি। তবে এই মৃত্যুকে ঘিরে আরো কিছু বিষয় জানা গিয়েছে তা হল লকডাউনের জেরে ভোম্বলের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্ত্রীকে তিনি দেহ ব্যবসায় নামাতে চেয়েছিলেন। সেইমতো তিন যুবকের কাছ থেকে টাকা নেন কিন্তু টুম্পা সেই কাজে রাজি হয়নি। তার জেরেই স্ত্রীকে মারধর করতেন ভোম্বল।

২০২০ সালে লক্ষণ হালদার টুম্পা মন্ডলের বাবা মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই টুম্পার স্বামী ভোম্বলকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং শুরু হয় টুম্পার খোঁজ। গত ১৩ ই জুন সিআইডি এই তদন্তের ভার পায়। শনিবার ভোর ৬টায় খবর পেয়ে টুম্পার কঙ্কাল উদ্ধার করেন তাঁরা। তিন বছর ধরে একটি মৃতদেহ পচছে সে সম্পর্কে কারো কাছেই কোন খবর ছিল না।বড়ই আশ্চর্যের বিষয়।