এবার ভারতের গবেষণাগারেই তৈরি হবে মেঘ,জলবায়ুর আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করতেই ‘মিশন মৌসম’ 

news bazar24: জলবায়ু সংকটের কারণে দিন দিন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে মৌসুমি ঋতু অনুযায়ী আবহাওয়া । বেশ কিছু বছর থেকে জলবায়ুর আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে । কখনও প্রবল বর্ষণ, কখনও তীব্র গরমের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর সেই কারনেই আবহাওয়া ভালোভাবে বোঝার জন্য ভারত সরকার ‘মিশন মৌসম’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়ে এসেছে। আবহাওয়া ভালোভাবে বুঝতে এবং আরও সঠিক পূর্বাভাস দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মতো উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মিশন মৌসম নামের এই প্রকল্পে পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরি করা হবে। মেঘ তৈরির পাশাপাশি রাডারের সংখ্যাও দেড়শ শতাংশের বেশি বাড়ানো হবে। আবহাওয়া পরীক্ষা চালানোর জন্য নতুন উপগ্রহ, সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে পরীক্ষা চালানো হবে আবহাওয়ার বিষয়ে।

ভারতের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের মতে, গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিন দিন চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। ফলস্বরূপ, হাওয়া অফিসের জন্য সঠিক পূর্বাভাস ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক আশাবাদী যে এই মিশন মৌসম সফল হলে এটি আরও সহজ হবে। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন বায়ুমণ্ডলকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভারী বর্ষণ, খরা ও বন্যা দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, বজ্রপাতসহ ঝড় হচ্ছে। মন্ত্রকের মতে, এই জটিল প্রক্রিয়াটি বোঝার জন্য, মেঘের অভ্যন্তরে এবং বাইরে, ভূপৃষ্ঠে, উপরের বায়ুমণ্ডলে, মহাসাগরের উপর এবং মেরু অঞ্চলে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তবেই সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে। আপাতত ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় আগামী পাঁচ বছরের মিশন সম্পর্কে জানিয়েছে।

সচিব এম. রবিচন্দ্রন বলেন, পাঁচ বছরের মিশন দুটি ধাপে বাস্তবায়িত হবে প্রথম ধাপটি চলবে মার্চ 2026 পর্যন্ত। যেখানে নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে। ভূতত্ত্ব মন্ত্রণালয় প্রায় ৭০টি ডপলার রাডার, উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার এবং ১০টি উইন্ড প্রোফাইলার এবং ১০টি রেডিওমিটার স্থাপন করবে।

দ্বিতীয় ধাপে নজরদারি ক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য স্যাটেলাইট এবং বিমান যোগ করার উপর জোর দেওয়া হবে। জানা গেছে যে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজি এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টিং আগামী পাঁচ বছরে মিশন মৌসম প্রকল্পে যৌথভাবে কাজ করবে।