SC Observation:সিবিআই যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে তা আমাদের বিচলিত করেছে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ

Newsbazar24:সমস্ত দেশবাসী সহ গোটা রাজ্য আজ তাকিয়ে ছিল সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের নৃশংস ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের শুনানির দিকে। এদিকে আজ সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। আর সিবিআই যা জানাল তা দেখে চমকে গিয়েছেন বিচারপতিরা।
এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, সিবিআই রিপোর্টে যা দিয়েছে, তা খুবই উদ্বেগের। রিপোর্ট পড়ে তারা বিচলিত বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। এদিন শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “সিবিআই যা যা রিপোর্টে লিখেছে, সেটা চিন্তার। সবকিছু বলতে পারছি না। কিন্তু তা চিন্তার। গোটা বিষয়ের তদন্ত দরকার। সিবিআই-এর হাতে অনেক তথ্য এসেছে।
মৃতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন তাতেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু রয়েছে। তার গোপন চিঠি প্রকাশ করবো না। সেগুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। রেসিডেন্ট ডক্টরসদের পক্ষে কিছু অভিযোগ করা হয়েছে। মুখবন্ধ খামে সেগুলো সিবিআইকে দিতে হবে‌। সিবিআই তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখবে।”আজ সিবিআইকে নতুন করে ২৫ নভেম্বরের পর সিবিআইকে পুনরায় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি এদিন জানতে চান, “কলকাতা পুলিস কি সিবিআই-কে সহযোগিতা করছে? ভিভিআর সহ সব তথ্যপ্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছে?” সিবিআই জানায়, “মাত্র ২৭ মিনিটের ভিডিয়ো দেওয়া হয়েছে।” সলিসিটর জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, “ডেডবডি চালান যেটি কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল, সেটি সম্পর্কে সবকিছু খতিয়ে দেখবে সিবিআই।” একইসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “তদন্ত চলাকালীন তদন্তের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে সব পক্ষকে। সিবিআই-কে একটু সময় দেওয়া দরকার সত্য
উদ্ঘাটনের জন্যে। আমরা সবটার উপর নজর রাখছি। তদন্তের গোপনীয়তা নিয়ে সব আইনজীবীকে সতর্ক থাকতে বলেন। গোপনীয়তা ফাঁস হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে।”
সিবিআই-এর তরফে এদিন শীর্ষ আদালতে জানানো হয় যে,”চার্জশিট এমনভাবে দাখিল করা হবে, যাতে কোনওভাবে অভিযুক্তের পক্ষে কোনও সুবিধা না হয়।” পাশাপাশি, এদিন সিনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধে ধর্ষণ-খুন এবং আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই-কে দুটি আলাদা স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সিনিয়র ডাক্তাদের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান “সন্দীপ ঘোষ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও গ্রেফতার হয়েছেন। আমাদের অনুরোধ, দুটো বিষয়ে পৃথক স্টেটাস রিপোর্ট দিক সিবিআই।”
যার উত্তরে প্রধান বিচারপতি সলিসিটর জেনারেলকে দুটো পৃথক স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন। একটি ধর্ষণ-খুন, অন্যটি আর্থিক দুর্নীতি। এদিন শীর্ষ আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, ঘটনাস্থল এবং ময়নাতদন্তের জায়গার সিজার লিস্ট রয়েছে। কিন্তু মৃতের পোশাক ময়নাতদন্তের সময় পাঠানো হয়েছিল কি? পাশাপাশি, “পরের দিন ম্যাজিস্ট্রেটকে যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল, সেটা কবের, তাও দেখা দরকার।