Malda:কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের ক্ষেপিয়ে তোলার অভিযোগ উত্তর মালদার তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে

Newsbazar24:শনিবার দুপুরে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মালদহের দুই লোক সভা কেন্দ্রে ভোট আগামী ৭ই মে। এই ভোট প্রচার কে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে তর্জা। সদ্য প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভোটে নেমেই রাজনৈতিক কারবারীদের মত ব্যাপক হুংকার দিতে শুরু করেছেন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের এক কর্মী সভায় উত্তর মালদার তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার। তিনি বলেন‘নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টাইট করা হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, ওষুধ তৈরি হয়ে গিয়েছে, শুধু প্রয়োগ করা বাকি। তবে এখানে কিসের ওষুধের কথা তিনি বলেছেন সে বিষয়ে খোলসা করেননি। লোকসভা নির্বাচনে আরও ভয়ংকর খেলা তিনি খেলবেন। বিরোধীরা দাঁড়াবার সুযোগ তিনি দেবেন না। প্রাক্তন পুলিশ কর্তা হিসাবে তাঁর সমস্ত নিয়ম-কানুন জানা রয়েছে। অতএব ভোটের দিন বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনি উত্তর মালদা জুড়ে সবকিছু স্তব্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তার মত একজন পুলিশকর্তা কিভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন। তবে কি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি তৃণমূল কর্মীদের খেপিয়ে তুলতে চাইলেন এই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এখানেই থেমেছিলেন না প্রসূন বাবু তিনি এদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জমিদার বলে অভিহিত করেন। বলেন, ‘খগেন মুর্মুরা ওই জমিদারদের জন্য কাজ করেছেন পাঁচ বছরে এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি। আর প্রসূনের এই উক্তির পরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
যদিও খগেন মুর্মুর দাবি পুলিশ সুপার থাকাকালীন তিনি অনেক ভোট করিয়েছেন এই তৃণমূলের পক্ষে। তিনি ভাল করেই জানেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় হলে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে চাপে রাখতেই তার এই উক্তি। খগেনের আরো দাবি পুলিশ সুপার থাকাকালীন অনেক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধীদের কোনা ঠাসা করেছেন। তৃণমূলের কি এলাকায় যোগ্য লোক ছিল না? বহিরাগত লোককে দাঁড় করানো হল কেন?ওঁনাকে জেতালে মানুষকে কলকাতায় যেতে হবে সুযোগ-সুবিধার জন্য।