Malda news:রতুয়ার ভাঙন কবলিত বাসিন্দাদের নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও সাংসদ খগেন মুর্মুর

Newsbazar24: রতুয়ার ক্লান্তটোলা এলাকায় ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অসংখ্য বৃদ্ধ, বৃদ্ধা থেকে শতাধিক সাধারণ মানুষদের নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। শুক্রবার দুপুরে আচমকায় ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক মানুষদের সঙ্গে নিয়েই জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। চরম অসস্তিতে পড়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ইংরেজবাজার থানার পুলিশ বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এই অবস্থান বিক্ষোভ। পরে বিজেপি সাংসদদের পক্ষ থেকে ভাঙ্গন বিষয় নিয়ে একটি স্মারক পত্রও জেলা প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
সাংসদ খগেন মুর্মু জানান , রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তটোলা গ্রামে ব্যাপক গঙ্গার ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তারপরও প্রশাসন উদাসীন । সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারেরাও এখনো পর্যন্ত ভাঙ্গন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কোনো রকম ব্যবস্থা নেয় নি। ইতিমধ্যে ২০ থেকে ২৫ টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য জমিও তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গার ভাঙ্গনে। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা আশ্রয়ের খোঁজে হন্নে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদিন ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক মানুষকে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে নিয়ে এসেছি। সেখানেই সকলেই বসে থাকবো। পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।
এদিকে মালদার গঙ্গার ভাঙ্গন পরিস্থিতি ও জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি বাবলা সরকার বলেন, এতদিন তো গঙ্গার ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ কেন্দ্র সরকার করছিল। তাদের অধীনস্থ ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দিল। গঙ্গা হচ্ছে জাতীয় নদী। এর দায়িত্ব সম্পূর্ণ কেন্দ্র সরকারের। অথচ এখন এই ভাঙ্গন পরিস্থিতি নিয়েই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজনীতি করছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এখন বিজেপির সাংসদ মানুষের মন পেতেই তাদেরকে নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এর আগেও ভাঙ্গন হয়েছে। তখন উনি কোথায় ছিলেন । আসলে সবটাই রাজনীতি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, মালদার এই ভাঙ্গন পরিস্থিতি রোধের ক্ষেত্রে সব রকম নির্দেশ দিয়েছে এবং ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ হচ্ছে।