Malda news:জয়েন্ট বিডিওর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরে সভাপতির অভিযোগের ভিত্তিতে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

Newsbazar24:মালদহের রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে সরব ব্লকের সমস্ত কর্মচারীবৃন্দ। সভাপতির করা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার পেন ডাউন রেখে ধর্না, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করলেন ব্লকের সমস্ত কর্মচারীরা। ফলত এদিন একপ্রকার বন্ধই ছিল অফিসের কাজকর্ম। অভিযোগ প্রত্যাহার করা না হলে আগামীতে বড়সড়ো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কর্মচারীদের।
ব্লক অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি ইমেল পেয়ে রতুয়া ২ ব্লকের বিডিও শেখর শেরপা জানতে পারেন জয়েন্ট বিডিও কল্যাণ আশিস দাসের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরউদ্দিন। আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্লক অফিসের কর্মীরা। তাঁরা অবিলম্বে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য সভাপতিকে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মীরা।
এবিষয়ে বিডিও শেখর শেরপা জানান, ‘গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি ই-মেল মারফত জানতে পারি জয়েন্ট বিডিও কল্যাণ আশিস দাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরউদ্দিন। সাতদিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলেছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর। তবে আমি মনে করি এসব অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন কয়েক মাস হল আমি এই ব্লকে যোগ দিয়েছি। এখনো পর্যন্ত দুর্নীতির কোন ঘটনা আমার নজরে আসেনি। এদিন ব্লকের সমস্ত কর্মচারীরা সভাপতি এই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে এক ঘণ্টা কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান’
রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরউদ্দিন বলছেন, ‘নতুন বিডিওকে অন্ধকারে রেখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, মানবিক ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে গেছেন। এছাড়াও সবুজ সাথী, মিড-ডে মিলে দিনের পর দিন দুর্নীতি করে চলেছেন। আমাকেও এই ব্যাপারে কিছু না জানিয়ে এসব করে চলেছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।’
পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ নৈমুদ্দিন জানান, সভাপতির অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। পঞ্চায়েত সমিতিতে আলোচনা না করে কেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরে অভিযোগ জানালেন। ব্লকে আমাদের জানিয়ে রীতিমতো টেন্ডার ডেকে সব কাজ করা হয়। সভাপতির যদি মনে করে থাকেন কোথাও কোনও দুর্নীতি বা ব্লক প্রশাসন অসহযোগিতা, সেক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া যেত। তা না করে তিনি অভিযোগ জানিয়ে ঠিক করেননি।