Malda Sports:জাতীয় জুনিয়র সফটবল প্রতিযোগিতায় মালদহের চার খেলোয়াড়

Newsbazar24:দারিদ্রতা কখনোই প্রতিভা বিকাশের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তার জ্বলন্ত উদাহরণ জাতীয় জুনিয়র সফট বল প্রতিযোগিতায় বাংলা দলে মালদহের চার দারিদ্র পরিবারের স্কুল পড়ুয়ার সুযোগ পাওয়া। এরা হলেন সন্দীপ মন্ডল(১৪) শেখর দাস(১৫) শুভাশিস ঘোষ(১৬) ও রিয়া মন্ডল(১৫)। বালক দলে সন্দীপ, শেখর ও শুভাশিস, এবং বালিকা দলে রিয়া মন্ডল। এদের মধ্যে কারও বাবা শ্রমিক, কারো বাবা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে আখের রস বিক্রি করেন, আবার কারও বাবা পেশায় কুলি। দারিদ্রতা এদের নিত্যসঙ্গী।
এর মধ্যেও তারা রাজ্যস্তরের সুযোগ পাওয়ায় খুবই খুশি।
পাঞ্জাবের চন্ডিগড়ে ৪৪ তম জাতীয় জুনিয়র সফটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ২৯ শে মে থেকে চলবে ২রা জুন পর্যন্ত। ইতিমধ্যে তারা মালদা থেকে রওনা হয়ে চণ্ডী গড়ে পৌঁছে গেছে।
এ বিষয়ে মালদা জেলা সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য প্রশিক্ষক অসিত পাল জানান, জেলায় এখনও পর্যন্ত সফটবলের প্রচলন সেভাবে হয়নি। এই চারজন ছেলে মেয়ে খুবই গরীব পরিবারের। খেলাধুলার প্রতি এদের আগ্রহ দেখে এদেরকে সফটবল প্রশিক্ষণে আমি নিয়ে আসি। বালক দলে সুযোগ পাওয়া সন্দীপ মন্ডল ঝলঝলিয়ার নরসিং কুপ্পার বাসিন্দা। সে উমেশ চন্দ্র বাস্তুহারা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।তার বাবা একজন শ্রমিক।শেখর বিভূতিভূষণ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র বাড়ি কুলদীপ মিশ্র কলোনিতে। তার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক দিল্লিতে কাজে আছেন। এছাড়া শুভাশিস শোভা নগর হাই স্কুলের ছাত্র বাড়ি শোভানগরে তার বাবা ঘুরে ঘুরে আখের রস বিক্রি করেন। বালিকা দলে সুযোগ পাওয়া রিয়া মন্ডল নরসিংহ কুপ্পা কলোনির বাসিন্দা, রেলওয়ে হাই স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবাও শ্রমিকের কাজ করেন। অভাবকে সঙ্গী করে এই চার পড়ুয়া পড়াশোনা সাথে সাথে খেলাধুলা চালিয়ে গেছেন। জাতীয় মিটে অংশ নেওয়ার জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছিল জলপাইগুড়িতে সেখানেই এই চার জনকে নির্বাচিত করা হয়। এদের মধ্যে ভালো প্রতিভা রয়েছে। আমাদের আশা ঠিকমত প্রশিক্ষণ পেলে আগামী দিনে এরা ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।