প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতেও ভয়ংকর তথ্য হাইকোর্টের সামনে,১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি!

Newsbazar24:এস এস সি নিয়োগ দুর্নীতির রেশ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন একদিকে যোগ্য শিক্ষক প্রার্থীরা অন্যদিকে অর্থের বিনিময়ে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া অযোগ্য শিক্ষকরা। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সেরকমই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাইকোর্টের সামনে। ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার জন্য সরাসরি ই মেইল করে অযোগ্য প্রার্থীকে টেট উত্তীর্ণ যোগ্য হিসাবে বিবেচিত করার জন্য জানানো হয়েছে। এই ই মেলটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের ই মেইল আইডি থেকে পাঠানো হয়েছেও বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনায় হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশের কাছে ১লা জুলাই এর মধ্যে বিশদ রিপোর্ট তলব করেছেন। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জাল কত গভীরে!
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮শে এপ্রিল -এ বিকেল ৪:১৯ মিনিটে একটি ই-মেইল করে ২৯ এপ্রিল কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয় গোবরডাঙার সুদীপ কর্মকারকে। পর্ষদ অফিসে সুদীপকে সাদা কাগজে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি আজও চাকরি পাননি।
এরপর সুদীপের পরিবার গোবরডাঙা থানায় প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে। তবে তদন্তে পুলিশ এখনো পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

সুদীপ কর্মকারকে ই-মেইল পাঠানো হলেও, সেখানে ‘ডিয়ার প্রশান্ত বেরা’ লেখা ছিল। এই প্রশান্ত বেরা কে?
পর্ষদের সচিবের ই-মেইল আইডি কীভাবে ব্যবহৃত হলো?
পর্ষদের ই-মেইল আইডি হ্যাক হয়ে থাকলে তার কোনো তদন্ত হয়েছে কি না?
বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মূল মামলায় পর্ষদ ই-মেইল আইডি হ্যাকের কথা জানালেও, তার কোনো তদন্ত রিপোর্ট সামনে এল না কেন?
বিধাননগর পুলিশ পর্ষদের কাছ থেকে আদৌ কোনো ই-মেইল হ্যাকিং অভিযোগ পেয়েছিল কিনা এবং পেলে তার তদন্তের অগ্রগতি কোথায়?
হাইকোর্টে মামলার নথি থেকে জানা যায় যে, গাইঘাটার শশাঙ্ক ঘোষ ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকে চাকরির সওদা করেছিলেন গোবরডাঙার সুদীপ কর্মকারের সঙ্গে। সুদীপের বাবা জমি বিক্রি করে ১০ লক্ষ টাকা শশাঙ্ক ঘোষকে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি দেন। এরপর ২০২২ সালের ২৩ মে আরও ২ লক্ষ টাকা অনলাইনে দেন। এই সওদার প্রত্যুত্তরেই ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল প্রাথমিক পর্ষদের সচিবের ই-মেইল আইডি থেকে ই-মেইল আসে, যেখানে ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পর্ষদে দেখা করতে বলা হয়েছিল।