আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সাত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল জারি

Newsbazar24:আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগে এবার সাত আইপিএসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ২৫ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন তাঁদের হাই কোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। জানা যাচ্ছে, আইপিএস ভাবনা গুপ্ত, বিশাল গর্গ, ভিএসআর অনন্ত নাগ, গুলাম সরওয়ার, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপিন তামাং, রাজর্ষি দত্ত – এই ৭ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে রুল জারির নির্দেশ দেয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

এ বিষয়ে আদালতের এক আইনজীবী জানান, “২০১৯ সালে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে হাওড়া পুরসভার কিছু কর্মীদের সঙ্গে একটা বচসা হয়। সেই বচসা মারামারি জায়গায় চলে যায়। সেই সময় হাওড়া কোর্টের উকিল ও হাওড়া পুরসভার উকিলদের ঝামেলা হয়। সেটা মিটেও যাচ্ছিল। সেই সময় শাসকদলের একজন মধ্যস্থতা করেন। হাওড়া কোর্টরে উকিলদের বলা হয় তোমরা হাওড়া পুরসভায় গিয়ে মেটাও। তখনই প্রতিবাদ করেন হাওড়া কোর্টের উকিলরা মানেননি। তাদের দাবি, পুরসভাকে আদালতে এসে আইনজীবীদের ঝামেলা মেটাতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। এতেই ওই রাজনীতিবিদ বলেন, তোমরা যা খুশি করো। আমিও দেখছি কী করা যায়। তারপর থেকেই হাওড়া কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীদের মারধর করা হয় হলে অভিযোগ এমনকি চেম্বার তছনছ করা
থেকে শুরু করে মহিলা উকিলকে পুরসভার ভিতরে ঢুকিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করা হয়। এরপর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এই মামলা গ্রহণ করেন। এরপর বিচারপতি সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তাঁরা নিযুক্ত করেন কমিশনার হিসাবে বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তকে। উনি ছ’মাসের মধ্যে কমিশন করেন। এবং জানান এই সকল পুলিশ অফিসাররা খুবই অন্যায় করেছে। এমনকী হাওড়া কোর্টের ভিতর টিয়ার গ্যাস চালানো হয়। সেই খোল পড়েছিল জেলা জজের ঘরে।এরপর এই মামলা স্থগিত হয় করোনার জন্য। তারপর বেঞ্চ চেঞ্জ হয়ে হয়ে আজ শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।