শিশু বিক্রির চেস্টা!

Newsbazar24:

ঘুরে ঘুরে শিশু বিক্রির চেস্টা, স্থানিয় মানুষের সক্রিয়তায় পর্দা ফাঁস, আটক দম্পতির, দু মাস আগেই দেখা গিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়েছন জেলা পুলিশ সুপার।

নগদ ৫০ হাজার টাকার বিনিময় কোলের একমাসের ছেলে শিশুকে বিক্রি করতে এসে সাধারণ মানুষের কাছে ধরা খেলো এক দম্পতি . জানা যায় সোমবার সকালে ওই দম্পতি মালবাজার শহর লাগোয়া পাকালাইন এলাকায় ওই শিশুকে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় . তখন সেই এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওই দম্পতি. সেখান থেকে পালিয়ে আসেন মালবাজার পুরনো রেলওয়ে স্টেশন এর প্লাটফর্মে. তবে পাকা লাইন এলাকার মানুষ বেগতিক দেখে তাদের পিছু নিয়ে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় চলে আসেন এবং সেখানকার মানুষদের জানান সেই দম্পতির বাচ্চা বিক্রির উদ্দেশ্য. ঘটনার খবর চাউর হতেই সেই দম্পতিকে ঘিরে ধরে দৈনন্দিন বাজারের ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ. তাদেরকে ঘিরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে যে দম্পতির নাম রাজেশ মিশ্রা ও অনিতা ওরাও যদিও অনিতা ওরাও এর আধার কার্ডে তার স্বামীর নাম ভিন্ন রয়েছে। রাজেশ মিশ্রা বানারহাট এর কারবেলা বাগানের বাসিন্দা এবং অনিতা ওরাও বানাহাটের দেবপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা। তাদের কথায় অনেক অসংগতি ধরা পড়ে. কখনো তারা বলেন বাচ্চার বয়স দুমাস কখনো বলেন বাচ্চার বয়স ২২ দিন। কখনো বলেন তারা ডাক্তার দেখাতে মালবাজার শহরে এসেছিলেন, কখনো আবার ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় বাচ্চা বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করে নেন. যদিও এ ব্যাপারে মালবাজার শহর লাগোয়া পাকা লাইন এলাকার বাসিন্দারা বলেন আজ সকালে এক দম্পতি টোটো করে এসে এখানে এক মাসের একটি বাচ্চা বিক্রির ফন্দি করেছিল। তারা সেই বাচ্চার দাম ৫০ হাজার টাকা সকলকে জানাচ্ছিল. এলাকার মানুষজন এরূপ ঘটনা দেখে তাদেরকে সেখানে ঘিরে ধরে. বেগতিক দেখেই তারা সেখান থেকে পালায়. মালবাজার স্টেশন রোডের ব্যবসায়ী সঞ্জয় বাসফোর বলেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা এই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল, আমরা পাকালাইন এলাকার মানুষদের অভিযোগ পেয়েই পুলিশকে খবর দেই । ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মালবাজার থানার পুলিশ ।এরপর ধন্দ বাদে কারা সেই এলাকা থেকে সেই দম্পতিকে আটক করে নিয়ে যাবেন রেলওয়ে পুলিশ না মালবাজার থানার সাধারণ পুলিশ । বেশ কিছুক্ষণ দায়ভার একে অপরের ওপর চাপানোর পর শেষ পর্যন্ত মালথানার পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় মালবাজার দৈনন্দিন বাজার এলাকায়। তবে ওই দম্পতি আসলেও ওই শিশুর মাতা, পিতা কিনা বা কি উদ্দেশ্যে তারা ওই শিশুকে বিক্রি চক্র সাজিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে মাল থানার পুলিশ।
অপরদিকে প্রায় দুমাস আগে এই দম্পতি গর্ভবতী অবস্থায় শীতের এক সকালে জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তার পাশে বসে শুনিয়ে ছিলো ভিন্ন গল্প, সেদিন এই ব্যক্তির দাবী ছিলো ট্রেনে টিকিট না থাকায় নামিয়ে দিয়েছে,বাড়ি ফিরে যাবার টাকা নেই, যদিও সেই সময় কিছু সহৃদয় ব্যক্তি এই দম্পতিকে চা বিস্কিট খাইয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় পাঠালে থানায় না গিয়ে শহর থেকে উবে গিয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খন্ড বাহালে জানিয়েছেন, আটক দম্পতির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।