শীত বিদায় নেবার আগেই শরীকে রোগ মুক্ত রাখতে চুমুক দিন বিট-আমলার জুসে! জেনে নিন বিস্তারিত

news bazar24: কয়েক দিন পড় হলেও এবার শীতকে বিদায় জানানোর পালা। ইতিমধ্যে বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।আমের গাছে মুকুল ফলতে শুরু করেছে । শুকনো গাছে কিছু রঙিন পাতাও দেখা দিয়েছে। প্রকৃতি বসন্তকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে শীত থেকে বসন্তে এই রূপান্তরের সময় সবাই কমবেশি কষ্ট ভোগ করে থাকে । জ্বর, সর্দি, কাশি-কফের সমস্যা ছাড়াও বসন্ত, হামের সম্ভাবনাও থাকে। এই সময়ে যেকোনো সংক্রমণ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এছাড়াও, কোভিড এখনও পুরোপুরি চলে যায়নি। ফলে ফ্লুর ভয়ও থেকে যায়। তাই পুষ্টিবিদরা সবসময় এই সময় শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন। বলতে গেলে আপনার নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। ওষুধের উপর নির্ভর না করে কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। পুষ্টিবিদ রূপালী গুপ্তের মতে, এই সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার প্রতিদিনের তালিকায় শাকসবজি, নিম পাতা, সজনে ফুল, সজনে শাকসবজি রাখা খুবই ভালো। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এবং জল এড়িয়ে চলুন। শরীর যাতে সঠিক পুষ্টি পায় এবং হজম ঠিক থাকে সেদিকে নজর রাখা আবশ্যক।

এই সময় প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস বিটরুট এবং আমলকির রস পান করুন। এই পানীয়টিতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর পাশাপাশি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। এবং এই বিটরুটের রস আমাদের বিষমুক্তকরণেও সাহায্য করে।

বিটরুট একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য শরীরের জন্য খুবই ভালো। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সিও রয়েছে। তাই, বিটরুটের আমলকির রস শরীরের বিষমুক্তকরণে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এটি পান করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

বিটরুটে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি, এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এতে পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। যা শরীরকে যেকোনো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

বিটরুট শরীরে সঠিক রক্ত ​​প্রবাহ বজায় রাখতেও ভূমিকা পালন করে। বিটরুট শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। যার কারণে সারা দিন শক্তির ঘাটতি হয় না। আমলকিতে কোয়ারসেটিন, গ্যালিক অ্যাসিড, কোরিলাজিন এবং এলাজিক অ্যাসিডের মতো ফাইটোকেমিক্যালও থাকে। যা শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

আমলা যেকোনো অন্ত্রের ক্ষত সারাতে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও ভূমিকা পালন করে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা হজমশক্তি বাড়ায়। সামগ্রিকভাবে, এটি পেট সুস্থ রাখে। গ্যাস এবং বুকজ্বালার সমস্যায়ও এটি খুব ভালো কাজ করে।

এই জুসটি কীভাবে তৈরি করবেন

বীট, আদা, আমলকি, পুদিনা পাতলা করে কেটে নিন। এবার জল মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার স্বাদমতো লবণ এবং ভাজা জিরা গুঁড়ো যোগ করুন। লেবু এবং মধু দিয়ে খেতে পারেন। শুধুমাত্র লেবুর রস যোগ করেও খেতে পারেন।