আজ, ১২ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলা ও কেনিয়ার কাছে এক ঐতিহাসিক দিন

Newsbazar24 :

ইতিহাসের পথ ধরে হাজার বছর ধরে মানব সভ্যতা এগিয়ে চলেছে। কিন্তু এরই মধ্যে কোনো কোনো দিন এমনই ঘটনাবহুল হয়ে ওঠে যা মানব ইতিহাসে স্থান পায়। তেমনই আজ অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর ইতিহাসে অবিভক্ত বাংলা ও আফ্রিকার কেনয়া দেশটির কাছে এক স্মরণীয় দিন।

মরুভূমি প্রায় কেনিয়ার জলবায়ু খুবই প্রতিকূল। তার মধ্যে প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাজার হাজার বছর ধরে বেঁচে আছে কেনিয়ার আদিবাসী সম্প্রদায়। ইতিহাসের পথ ধরেই এক সময় কেনয়া দখল করে ব্রিটিশরা। ইউরোপীয় যোগাযোগ ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের সাথে শুরু হয়েছিল। এর পরেই শুরু হয় আফ্রিকার উপর ইউরোপের আগ্রাসী। অবশেষে ১৮৯৫ সালে কেনয়া সম্পূর্ণভাবে ব্রিটিসের অধীনে চলে আসে। তার পরে ধীরে ধীরে কেনিয়ার আদিবাসীদের মধ্য স্বাধীনতা আন্দোলেন শুরু হয়। ১৯২০ সাল থেকে স্বাধীনতা আন্দোলেন শুরু হলেও তা বিপ্লবে পরিনত হয় ১৯৫২ সালে। অবশেষে প্রবল লড়াইয়ের পরে ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কেনয়া সর্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিনত হয়। তার পর থেকেই ১২ ডিসেম্বরকে কেনয়ায় ‘জাতীয় দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।

আবার আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের কাছে ১২ ডিসেম্বর একটা স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন। আমরা জানি, ১৯০৫ সালের ১ অক্টোবর ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন বাংলা ভাগ করেছিলেন। তিনি এটিকে পূর্ববঙ্গ (মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ) এবং পশ্চিমবঙ্গে (হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ) ভাগ করেছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন আপামর বাঙালি। আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অবশেষে বাধ্য হয়ে ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর লর্ড হার্ডিঞ্জ বঙ্গভঙ্গ আইন রদ করেন। বঙ্গভঙ্গ রদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রাথমিকভাবে বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদের হুমকি রোধ করার জন্য। তবে, বঙ্গভঙ্গ রদ করার অন্যান্য কারণগুলি হল –
১)বাঙালিরা বঙ্গভঙ্গকে তাদের মাতৃভূমির অপমান হিসেবে গণ্য করেছিল।
২) ব্রিটিশ আইন বাঙালিদের আলাদা করার চেষ্টা করছে বলে মনে করতেন বাঙালিরা।
৩) স্বদেশী আন্দোলনের দাঙ্গার
প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়। আবার ওই দিনই ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হলো।