‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’ দেখলে পুরনো স্মৃতির নস্ট্যালজিয়া ফিরে পাবেন

Newsbazar24,প্রয়াত বিশিষ্ট কৌতুকাভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত হাস্য রস সমৃদ্ধ যমালয়ে জীবন্ত মানুষ অবলম্বনে ডক্টর কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে যমালয়ে জীবন্ত মানুষ।১৯৫৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’। সেই সিনেমার কথা মাথায় রেখে কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমাটি গত ১৫ ই নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে। গত ২২শে নভেম্বর থেকে সেই ছবিটি মালদার দুটি প্রেক্ষাগৃহ রূপকথা ও এসভিএফ সিনেমাতে দেখানো হচ্ছে। ছবিটি মূলত একটি কৌতুক রসে সমৃদ্ধ মজার সিনেমা। ডক্টর কৃষ্ণেন্দু চ্যাটার্জী পরিচালিত এই ছবিতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য চরিত্রে রয়েছে অম্বরিশ ভট্টাচার্য, পরান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভাশীষ মুখোপাধ্যায় , বাসবদত্তা চ্যাটার্জি , সাহেব চ্যাটার্জী,দর্শনা বণিক এবং আরো অনেকে। মানবেন্দ্র নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মালদহের অভিনেতা শুভদীপ চক্রবর্তী। এ ছাড়াও মালদার অনামিক সাহা সহযোগী পরিচালক হিসেবে ও সুমন সরকার সাবটাইটেল লেখার কাজ করেছেন এই ছবিতে। এ বিষয়ে অভিনেতা শুভদীপ চক্রবর্তী বলেন, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় কে শ্রদ্ধা জানাবার জন্যই আমাদের এই ছবি যমালয়ে জীবন্ত ভানু। ডক্টর কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় হাস্যরস সমৃদ্ধ এই ছবি। তিনি সকলকে ছবি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত যমালয়ে জীবন্ত মানুষ অবলম্বনে একটি ভিন্ন গল্প নিয়ে এই ছবিটি করা হয়েছে।
কিংবদন্তি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নামই ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’ সিনেমায় ব্যবহার করেছেন কৃষ্ণেন্দু। তবে ভিন্ন চরিত্রের জন্য। অম্বরীশ ভট্টাচার্য অভিনীত চরিত্রের নাম সাম্যময় এবং ঘটনাচক্রে তারও পদবী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজ্ঞানী সাম্যময় এমন এক যন্ত্র (জাতিস্মর) আবিষ্কার করেছে যার মাধ্যমে অতীতে যাওয়া সম্ভব। সেই আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানের দিনই ঘটে দুর্ঘটনা।
গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয় সাম্যময়। যথা সময়ে শার্ট-প্যান্ট পরা যমদূত এসে তাকে ‘দৈব এস্কেলেটর’-এ করে যমালয়ে নিয়ে যায়। সেখানেই তার দেখা হয় ‘জীবন্ত ভানু’র সঙ্গে। এখনও স্বর্গের অপ্সরাদের নাচ শিখিয়ে উঠতে পারেননি ভানু। তবে ইন্দ্রকে বুঝিয়ে নিজের বয়স পঞ্চাশ বছরে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। স্বর্গে বাঙালির দেখা পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে যান ভানু। কিন্তু সাম্যময়? তার কি সত্যিই এই সময় পরলোকে যাওয়ার ছিল? না কি এর নেপথ্যে রয়েছে কোনও ষড়যন্ত্র? প্রশ্নের উত্তর সিনেমা হলে গেলেই পেয়ে যাবেন। সেই সঙ্গে পাবেন পুরনো স্মৃতির নস্ট্যালজিয়া।