ট্যাবের টাকা না পাওয়ার অভিযোগের তদন্তে নেমে চক্ষু ছানাবড়া তদন্তকারীদের! বিরোধীদের কটাক্ষ

Newsbazar24:রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এককালীন টাকা দেন ট্যাব কেনার জন্য। পড়ুয়াদের জন্য পাঠানো ট্যাবের টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না! পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, অভিযোগ সর্বত্র প্রায় একই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের টাকা ঢুকছে অন্য অ্যাকাউন্টে। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানাতেও।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে চক্ষু ছানাবড়া আধিকারিকদের। শুধু ‘তরুণদের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা নয়, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ‘বাধর্ক্য ভাতা’, ‘কৃষকবন্ধুর’ টাকাও ঢুকছে জালিয়াতির অ্যাকাউন্টে। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবারই এই ধরনের সমস্যার সমাধানের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত প্রকল্পে অনুদান দেওয়ার পদ্ধতি ‘লিক প্রুফ’ করার কথাও বলেছেন তিনি।

নবান্ন সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সরকারি পোর্টালে ঢুকে প্রকৃত প্রাপকের বদলে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এমন প্রায় ২০০ টি ব্যাংক একাউন্ট চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে ৮০টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে,শুক্রবারই শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের এই ধরণের সমস্যা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী এমনকী জালিয়াতির ফলে যেসব পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার টাকা পাননি, সোমবার থেকে ফের তাঁদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় পড়ুয়াদের প্রাপ্য টাকা লোপাটের ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই জালিয়াতির পিছনে রয়েছে পেশাদারি কোনও গ্যাং। তদন্তকারীরা জেনেছেন,এই অ্যাকাউন্টগুলির অধিকাংশই ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থানের মতো রাজ্যের। তবে বাংলার মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও নদীয়া জেলাতেও এমন কিছু অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-অশোকনগর এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টেও হানা দিয়েছে জালিয়াতরা।
এব্যাপারে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএম-এর মহম্মদ সেলিম বলেন, হ্যাকার বাজে কথা। তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। পুলিশের যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে এই সত্যিটা তদন্ত করে সামনে আনুক।’