Nadia News:প্রশাসনিক নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবাধে চলছে ফেরি চলাচল কোনরকম নিরাপত্তা ছাড়াই

Newsbazar24:প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্বেও চলছে ফেরী চলাচল। নৌকায় দেখ মিললো না পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট সহ নিরাপত্তার কিছু! অবশ্য ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি কেবলমাত্র জরুরী পরিষেবা চালু রয়েছে
প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি, পাশাপাশি জলস্ফীতি বৃদ্ধির কারনে রাজ্যের একাধিক জায়গায় আগাম সতর্কতাও জারি করেছে প্রশাসনের তরফে, সেই মোতাবেক, বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে ফেরী চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করছে নদীয়া জেলা প্রশাসনের তরফে।
আর এদিন সেই প্রশাসনের নির্দেশনামা থাকা সত্বেও নবদ্বীপের ফেরী ঘাটে দেখা মিললো ফেরী চলাচল করতে। নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জ ও নবদ্বীপ মায়াপুরে ফেরী চলাচল করতে দেখা গেলো এদিন দিনভর। সুত্রের খবর সকালে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিলো এই ফেরী চলাচল।
যদিও ফেরী ঘাট কতৃপক্ষের দাবী হঠাৎ করে প্রশাসনের তরফে নোটিশ এসেছে, এবং নবদ্বীপ বড়াল ঘাট দিয়ে স্বরূপগঞ্জ ও মায়াপুর থেকে কয়েকশো ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করতে আসে বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে এছাড়াও সকালে কয়েকশো মানুষ রুটিরুজির কারনে নবদ্বীপে এসে পরেছে, তাই আমরা বিশেষ বিশেষ জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে ফেরী চালাচ্ছি, পাশাপাশি তারা আরও জানায় প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশ আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা নেবো,
যদিও ফেরী চালু রাখার পক্ষেই সায় দেয় নিত্যযাত্রীদের একাংশ। তথাপি বর্তমানে গঙ্গায় জলস্তর যেভাবে বৃদ্ধি পেয়ে রয়েছে সেখানে কার্যত কোনরকম নিরাপত্তার ব্যাবস্থা ছাড়াই এভাবে ফেরী চলাচল করানোয় যে ১০০ শতাংশই ঝুঁকি পূর্ন তা বলার অপেক্ষা রাখে না,
কারন এদিনও কোন নৌকায় দেখা যায় নি কোন লাইফ জ্যাকেট সহ নিরাপত্তার কোন ব্যাবস্থা,
আর এ ছবি শুধু বড়াল ঘাটেই নয়, শহরের উত্তরাঞ্চল প্রাচীন ময়ায়পুর নদীয়া গঙ্গার ঘাটেরও ছবিটা একই রকম, উল্লেখ থাকে নীদয়া গ্রামের নবদ্বীপের যোগাযোগের মাধ্যম কেবল এই নৌকা।আর সেখানেও এমন পরিস্থিতিতে দেখা মিললো না কোন রকম নিরাপত্তার ব্যাবস্থা,৷ জীবনের ঝুকি নিয়েই পারাপার হতে দেখা গেলো সকলকে। তবে সব দায় কি প্রশাসনের? সাধারণ মানুষেরও সচেতনতার অভাবের স্পষ্ট ছবি দেখা গেলো নীদয়া গঙ্গার ঘাটে, গঙ্গার এমন অবস্থাতেও ছোট থেকে বর সকলকেই দেখাগেলো ঝুকি নিয়েই স্নান করতে।যদিও প্রশাসনের কোন নজরদারি তেমন ভাবে চোখে পরেনি গঙ্গার ঘাটে।