চাকুরী ছেড়ে দেওয়ায় প্রাক্তন অফিস কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানীতে কর্মরত ৪ জন কর্মচারী চাকুরী ছেড়ে দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানীর অভিযোগ ভুক্তভোগী অফিস কর্মচারীদের। অভিযোগ
উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুর ১২ টায় নগরীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করে এর প্রতিকারের দাবিতে সরব ভুক্তভোগীরা।
গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লিমিটেড থেকে চাকুরী ছেড়ে দেওয়া ভুক্তভোগীরা হলেন, মহানগরীর চন্দ্রীমা থানার নিউ কলোনীর মৃত মুন্টু লায়েকের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন সুজন, গোদাগাড়ী থানার রাজাবাড়ি এলাকার খায়রুল ইসলামের ছেলে খালেদ হাসান, মোহনপুর থানার গোছা এলাকার রকিব মন্ডলের ছেলে ইমতিয়াজ আহসান, নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার মহেষপুর গ্রামের আলহাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মাসুদ রানা।
লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার হোসেন সুজন বলেন, আমরা ৪ জন গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লি:এ সম্পূর্ণ অস্থায়ী মজুরীর ভিত্তিতে কাজ করছিলাম। আমাদের কোন আবেদন ও যোগদান পত্র নাই। তারা জানান, অত্র প্রতিষ্ঠানে নির্বাহীর বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠান পরিপন্থী পরিলক্ষিত হওয়ায় বাহিরের বিভিন্ন কাস্টমার এমনকি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীক মহলে বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার ছড়াতে থাকলে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বেশ কিছুদিন যাবত আমাদের সাথে কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় যোগাযোগ/পরামর্শ না করে তার নিজস্ব পরামর্শে প্রতিষ্ঠান চালাতে থাকেন। এর জন্য আমরা কতিপয় কর্মী প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান নিকট বিভিন্ন ভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হই। আমরা নিজেদের উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোন ভাবেই নিরাপদ মনে করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে ৩ মাস আগেই অবহিত করে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মচুতি ঘটাই অর্থাৎ গ্রীন প্লাজা থেকে চাকুরী ছেড়ে দেই।
নিজেদের জীবনের তাগিদে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেরাই “আল-আফসা” কোম্পানী লি: নামে রিয়েল এস্টেট কোম্পানী চালুও করি। যা রাজশাহী গ্রেটার রোড কদম তলা, জিপিও, রাজশাহীতে অবস্থিত। বর্তমানে আমরা অফিস কাজ করছি এবং অতিসত্তর একটি ভূমি মালিকের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছি। কিন্তু দু:খের বিষয় আমাদের পুরাতন কোম্পানীর মালিক (গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লি:) আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে আমাদের চলমান কাজের ক্ষতি সাধনের জন্য গত ২৬ জুন ২০২৪ইং তারিখে বোয়ালিয়া মডেল থানায় খালিদ হাসানের নামে এফআইআর করে এবং কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই ২৭ জুন ২০২৪ ইং তারিখে ৪০৮, ৪২০,৪৬৮ ধারার অপরাধে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বর্তমানে গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লি: এর কর্ণধার বিভিন্ন কলা কৌশলে আমাদের বিব্রত করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো তদন্ত ছাড়াই এমন একটি মিথ্যা মামলা নিলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাঁরা যেনো বিষয়টি তদন্ত করেন।