ভোটের মুখে কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের, রাজ্যে কাদের উপর কমিশনের খাড়া জানতে পড়ুন

Newsbazar24:লোকসভা নির্বাচনকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে আবারো কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের।রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারের অপসারণের পর বৃহস্পতিবার রাজ্যের চার জেলাশাসককে অপসারিত করল নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম জেলার জেলাশাসক রয়েছেন এই তালিকায়। কমিশনের সূত্রে জানা যায়, ওই চার জেলাশাসক সরাসরি আইএএস ক্যাডার নন তাই এই সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার এক নির্দেশিকায় রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসকদের অপসারণের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। যেহেতু এই চার জেলাশাসকের ডব্লিউবিসিএস থেকে পদোন্নতি হয়ে আইএএস হয়েছেন তাই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরেই একাধিক জায়গায় শাসক ঘনিষ্ঠ আমলাদের অপসারণের পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন বাংলার পাশাপাশি গুজরাটের ছোট উদয়পুর এবং আমদাবাদ গ্রামীণ জেলার দুই পুলিশ সুপারকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এছাড়া এদিন পাঞ্জাবের পঠানকোট, ফাজ়িলকা, জলন্ধর গ্রামীণ এবং মালেরকোটলা জেলার চার পুলিশকর্তাকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সরানো হয়েছে ওড়িশার ঢেনকানলের জেলাশাসক এবং দেওগড় ও কটক গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে। পাশাপাশি এই নির্দেশিকায়
পাঞ্জাবের ভাতিন্ডার এসপি এবং অসমের শোনিতপুরের এসপিকে অন্যত্র বদলি করতে হবে। এই দুই পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের রাজীব কুমারের পাশাপাশি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিবকেও অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের সচিবকেও সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক কথায় বলা যায় নির্বাচন কমিশনের এই কড়া পদক্ষেপের ফলে ভোট কতটা সন্ত্রাসমুক্ত হয় সেটাই দেখার।