Malda Laxmi Puja:১৮ ভূজা দেবী মহালক্ষ্মী, সকালে এক রূপে এবং রাতে ভিন্ন রূপে পূজিত হচ্ছেন মালদহে

Newsbazar24:দেবী ফিরে গেছেন ‘কৈলাসের দেবালয়ে’।মায়ের বিদায়ের বিষন্নতা কাটিয়ে ফের বাঙালি মেতে উঠলো কোজাগরী পূর্ণিমায় মা লক্ষ্মীর আরাধনায়। আজ শনিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। মালদহ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে পুজিত হয়ে আসছেন ১৮ ভূজা বিশিষ্ট দেবী মহা লক্ষ্মী।কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা তিথিতে পুজিত হন দেবী। কিন্তু এই দেবী একই দিনে দুই রূপে পুজিত হয়ে আসছেন ২০ বছর ধরে। সকালে মহা লক্ষ্মী রূপে এবং রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে।
স্বামী গ্রীজাত্মানন্দ মহারাজ ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা করেন।২০০২ সাল থেকে তিনি ১৮ টি হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে দেবী এখানে, সকালে এক রূপে, ও রাতে একরূপে পুজিত হয়ে আসছে সেই থেকেই। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর ও উত্তর দিনাজপুর থেকে ভক্তদের ঢল নামে এই আশ্রম। এই আঠারো হাতের লক্ষ্মী পুজো গোটা পশ্চিমবাংলার মধ্যে একমাত্র মালদহের বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া আশ্রমে হয়ে আসছে।
দেবী সকালে মহালক্ষী রূপে পূজিত হয়েছেন এবং রাতে কোজাগরী রূপে তিনি পূজিত হবেন।এদিন সকালে ১৬ রকম উপাচার দিয়ে মায়ের পুজো দেওয়া হয়েছে।সেই উপাচারে বস্ত্র,আলতা,কাজল,চিরুনি,ধুপচি, সহ নানা কিছু দেওয়া থাকে।এছাড়াও ওই দিন মায়ের রাজকীয় ভোগে অন্ন,৫রকম ভাজা,৩তিন রকম তরকারি, ডাল,বিভিন্ন রকম মিষ্টি নিবেদন করা হয়।মহা লক্ষ্মীর পূজার সময় চণ্ডীপাঠ করা হয়। এই পুজোর ঘট স্থাপনের জন্য পাকুর,অশ্বত্থ,আম,বট ও অশোক গাছের পল্লব দেওয়া হয়। যজ্ঞের জন্য দেওয়া হয় ১০৮ টি বেলপাতা।
পূজিতা মহালক্ষ্মীর এক হাতে থাকে ভগবান নারায়ণের সুদর্শন চক্র, বাকি সতেরোটি হাতে ত্রিশূল,গদা,তীর, ধনুক,কুঠার,বজ্র,জপের মালা,শঙ্খ,পদ্ম সহ অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে সুজজ্জিত থাকে। এদিন রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হবে পূর্ণিমার তিথিতে। জানা গেছে
এই পুজো শুরু করার উদ্দেশ্য অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভশক্তির প্রতিষ্ঠা করা।