বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে অনগ্রসর আমজনতার জন্য কেন্দ্র শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা

Newsbazar24:বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই চালু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বকর্মা যোজনা। প্রথাগত শিল্প ও কারিগরদের সুবিধার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা বলে জানা গেছে।যারা চিরাচরিত নানা শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে জানা গেছে। স্বাধীনতা দিবসের লালকেল্লা থেকে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই যোজনার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
জানা গেছে বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর নতুন দিল্লির দ্বারকায় ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন এন্ড এক্সপোর্ট সেন্টারে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে জানা গেছে।
দেশের পিছিয়ে পড়া দিনমজুর সহ শ্রমজীবী অনগ্রসর মানুষ যেমন ধোপা, নাপিত, স্বর্ণকার, কেশ শিল্পী, মালাকর, দর্জি, রাজমিস্ত্রি, জুতোর কারিগর, ঝুড়ি মাদুর ঝাঁটা নির্মাতা ইত্যাদি ১৮ পেশার শিল্পীদের জন্যই এই প্রকল্প।
এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ ব্যায়ভার বহন করবেন কেন্দ্রীয় সরকার এজন্য এই প্রকল্পে সকল অনগ্রসর শিল্পীদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে ১৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যে সমস্ত মানুষেরা কোন কলোনি, কুঁড়েঘর, বস্তি বা ভাড়াবাড়ি ইত্যাদিতে থাকেন সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হবে। সব মিলিয়ে নতুন এই বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর কারণ একটাই যাতে সেই সমস্ত নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা কোনভাবে পিছিয়ে না থাকে।
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কি কি করতে হবে? এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ পিছিয়ে পড়া অংশের প্রথাগত শিল্পীরা কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিনামূল্যে বায়োমেট্রিক ভিত্তিক পিএম বিশ্বকর্মা পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। পিএম বিশ্বকর্মা শংসাপত্র এবং পরিচিতিপত্রের মাধ্যমে বিশ্বকর্মাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ও পরবর্তীস্তরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সরঞ্জাম কেনার জন্য তাঁরা ১৫ হাজার টাকা করে পাবেন। কোনোরকম সমান্তরাল জামিন ছাড়াই ৫ শতাংশ ভর্তুকি সুদের হারে প্রথম কিস্তিতে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা তাঁদের দেওয়া হবে। ডিজিটাল লেনদেনের জন্য উৎসাহ এবং বিপণন সংক্রান্ত সহায়তাও তাঁরা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল প্রথাগত শিল্পের ক্ষেত্রে গুরু-শিষ্য পরম্পরা এবং পরিবারভিত্তিক দক্ষতার অনুশীলনকে আরো শক্তিশালী করে তোলা। শিল্পী ও কারিগরদের তৈরি পণ্যের গুণমানের উন্নয়ন, পণ্য ও পরিষেবার ব্যাপ্তি বাড়ানো এবং দেশীয় ও বিশ্বজনীন মূল্য শৃঙ্খলের সঙ্গে সেগুলির সংযুক্তিকরণ এর প্রধান উদ্দেশ্য।
এই প্রকল্পটি দেশজুড়ে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে শিল্পী এবং কারিগরদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। ১৮ টি প্রথাগত শিল্পকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এগুলি হল
১) কাঠের কাজের শিল্পী,২) নৌকা প্রস্তুতকারক
৩) অস্ত্র প্রস্তুতকারক ৪) কামার ৫) হাতুড়ি ও ছোটোখাটো সরঞ্জাম নির্মাতা ৬) তালা নির্মাতা
৭) স্বর্ণকার ৮) মৃৎশিল্পী ৯) ভাস্কর, প্রস্তরশিল্পী
১০) জুতোর কারিগর,১১) রাজমিস্ত্রী ১২) ঝুড়ি/মাদুর/ঝাঁটা নির্মাতা ১৩) পুতুল ও খেলনা নির্মাতা(প্রথাগত)
১৪) কেশশিল্পী ১৫) মালাকর ১৬) রজক ১৭) দর্জি
এবং ১৮) মাছ ধরার জাল নির্মাতা।
*সংবাদ সূত্র পিআইবি*