টিং-টং, যাত্রীরা দয়া করে মনোযোগ দিন, রেলস্টেশনে এই শব্দগুলি এখন কে বলে ছেলে না মেয়ে ?

news bazar24: টিং-টং, যাত্রীরা দয়া করে মনোযোগ দিন ( टिंग-टॉन्ग, यात्रीगण कृपया ध्यान दें ) … আপনি নিশ্চয়ই রেলস্টেশনে এই শব্দগুলি শুনেছেন। কোন প্ল্যাটফর্ম এবং কোন সময়ে আপনার ট্রেন আসতে চলেছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রেলের ঘোষণায় মহিলার শান্ত কন্ঠস্বর শুনে আপনি অভ্যস্ত। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এটি কার কণ্ঠস্বর? ট্রেন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের সময় সম্পর্কে তথ্য দেওয়া এই রেলের ঘোষণায়, এর পিছনে এখন কোনও মহিলা নেই, 24 বছরের একটি ছেলের কণ্ঠস্বর। শুনলে অবাক হবেন, তবে এটা সত্যি যে রেলের এই ঘোষণার পিছনের কণ্ঠটি আসলে একজন মানুষের কণ্ঠ।

রেলওয়ের ঘোষণা ব্যবস্থার পেছনে কার কণ্ঠস্বর ?

প্ল্যাটফর্মে শোনা এই আওয়াজের পিছনে 24 বছর বয়সী শ্রাবণ আদোদে। আগে শ্রাবণ মজা করার জন্য সেই কন্ঠ নকল করতেন, কিন্তু পরবর্তীতে একই মিমিক্রিই তার ক্যারিয়ার তৈরি করে। অনেক সময়, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে, রেলওয়ে রেকর্ড করা ঘোষণাটি চালাতে পারে না। অনেক সময় শেষ মুহূর্তের পরিবর্তনের কারণে ম্যানুয়াল ঘোষণা দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে শ্রাবণ আদোদের কাছে একটা নতুন পথ খুলে গেল।

কে শ্রাবণ আদোদে ?

মহারাষ্ট্রের পালির বাসিন্দা শ্রাবণ, আগে তার নকলের জন্য লোকেদের দ্বারা উত্যক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি অন্যদের কণ্ঠ নকল করতে পছন্দ করতেন। রেলস্টেশনে শোনা ঘোষণা হুবহু কপি করতেন শ্রাবণ। সরলা চৌধুরী, যার কণ্ঠ রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে একজন মহিলা ঘোষক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, পরে শ্রাবণ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।

রেলে চাকরি পেয়েছেন ?

ভারতীয় রেলওয়ে প্রথমে শ্রাবণ আদোদেকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করেছিল এবং তার কণ্ঠে একটি মৌলিক বার্তা রেকর্ড করেছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ট্রেন এবং স্টেশনের নাম নথিভুক্ত করে ।
প্রথমে তাদের ডিজিটালভাবে মিশ্রিত এই শব্দ বাক্যগুলি কেউ বুঝতে পারেনি যে এই কণ্ঠটি কোনও মহিলার নয়, একটি ছেলের। তার কাজ দেখে রেলওয়ে তাকে স্থায়ী কর্মী করে। শ্রাবণ বিভিন্ন স্টেশন এবং ট্রেন অনুসারে মহিলার কণ্ঠে রেলের জন্য ঘোষণা দেয়। লোক সেই ঘোষণা পছন্দ করে।