হিন্দুদের মৃত্যুর পর পিণ্ড দান না করলে কি ফলাফল মারাত্মক হয় ? গরুড় পুরাণ কী বলে?

newsbazar24 : হিন্দুদের মৃত্যুর পর পিণ্ড দান না করলে ফলাফল মারাত্মক হয়, গরুড় পুরাণ কী বলে? পিণ্ড দান কেন করা হয়? যদিও হিন্দু ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে এর উল্লেখ আছে, গরুড় পুরাণে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে।

হিন্দু ধর্মে মৃত্যুর পর পিণ্ডদান করা হয়। এটি অস্বাভাবিক হোক বা স্বাভাবিক মৃত্যু, আত্মার মঙ্গল কামনায় পিণ্ড দান করার বিধান রয়েছে।

পিণ্ড হল রান্না করা ভাত। এক কথায় সিদ্ধ আতপ চাল, ঘি ও কালো তিলের বা কখনও যবের মিশ্রণ। দেহ দাহ করার আগে একবার পিণ্ড দান করা হয়।

গরুড় পুরাণ অনুসারে, সম্প্রতি মৃত আত্মাকে পিণ্ড অর্পণ করলে সেই আত্মা তার পূর্বপুরুষদের সাথে পুনর্মিলনের পথ দেখতে পারে।

গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর পর যদি কোনও মৃত ব্যক্তিকে পিণ্ড দান না করা হয়, তবে সেই ব্যক্তির আত্মা মুক্তি পায় না।

মৃত্যুর পর, সূক্ষ্ম আত্মা ধীরে ধীরে পিণ্ডের মাধ্যমে একটি দেহ লাভ করে। গরুড় পুরাণে উল্লেখ আছে যে, সন্তানের দ্বারা মাতা বা পিতাকে দেওয়া পিণ্ড চারটি ভাগে বিভক্ত হয় । এর মধ্যে দুটি অংশ প্রেতের শরীরের পঞ্চভূতের পুষ্টি দেয়। পাঁচটি উপাদানকে পুষ্ট করে।

পিণ্ডের তৃতীয় অংশটি যমদূতের কাছে যায়। এবং শেষ অংশটি, অর্থাৎ চতুর্থ অংশটি প্রেত রূপী জীবের খাদ্য। পুরাণে উল্লেখ আছে যে, ৯ রাত ও দিন ধরে পিণ্ড গ্রহণের মাধ্যমে প্রেতের দেহ গঠিত হয়।

দশম দিনে, পিণ্ড প্রেতের দেহে শক্তি প্রদান করে। গরুড় পুরাণ অনুসারে, পিণ্ডের মাধ্যমে দেহ গঠনের পর, তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত আত্মা একাদশ ও দ্বাদশ দিনে খাদ্য গ্রহণ করে।

ত্রয়োদশ দিনে, নবসৃষ্ট দেহটি যমদূতের সাথে একা যমমার্গে যায়। এবং পিণ্ড গ্রহণের ফলে, সেই জীব যমলোকে যাওয়ার সময় ভালো-মন্দ কর্মের ফল ভোগ করতে পারে।

দ্রষ্টব্য – এই প্রতিবেদনে উপস্থাপিত বিবৃতিগুলি গরুড় পুরাণ এবং হিন্দু বিশ্বাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য। newsbazar24 এই বিষয়ে কোনও দায়িত্ব গ্রহণ করে না।