সাধারণ মানুষের জমি বে আইনি ভাবে দখলকরার অভিযোগে ভাঙ্গর এক ব্লকে ক্ষোভ তৃনমূলের বিরুদ্ধে

news bazar24: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর এক ব্লক এর  রাজাপুর গ্রামের এক তৃণমূল বুথ সভাপতির  বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জমি বে আইনি ভাবে দখলকরার অভিযোগে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।  অভিযোগ  এই গ্রামের বাসিন্দা এক বয়স্ক আইনজীবি  এ. মোল্লা  জমি বিবাদ নিয়ে তীব্র অত্যাচারের স্বীকার হন । তৃণমূল ভবন সহ আইনজীবীদের সংঘটন সহ হাইকোর্টর প্রধান বিচারপতির কাছে, এই বিষয়ে অভিযোগ পর্যন্ত জানানো হয়। সুত্রে জানা গেছে রাজাপুর গ্রামের এক  প্রান্তে পাঁচিল ঘেরা জমি রয়েছে আইনজীবীর,অভিযোগ জমির মালিক ওই আইনজীবীকে না জানিয়ে জোর করে সেই জমি দখল করার চেষ্টা করেন কুরবান মল্লিক । বাধা দিতে গেলে সেই সময়  আক্রান্ত হন আইনজীবী ও তার পরিবার। এবার আর চুপ থাকেনি গ্রামবাসীরা, পাল্টা প্রহার করে ওই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি কুরবান মল্লিককে । হটাৎ কেন  জমি দখল ? সূত্রের দাবি, আইনজীবীর ভাই এর কাছ থেকে পাঁচিল এর বাইরের অংশ কিনে নেয় এক ব্যাক্তি, কিন্তু বাইরের জমির পরিবর্তে জমি জোর করে পাঁচিল এর ভিতর জমি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত বুথ সভাপতি। 

গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ  এর আগেও  বহু জমি দখল, ভাঙচুর, আক্রমণ,  বিভিন্ন  অভিযোগে মামলা রয়েছে  কুরবান মল্লিকের নামে। এদিকে এই ঘটনার পর রাজাপুর গ্রামের  আইনজীবী মো এ. এ মোল্লা বলেন, “আমরা আমাদের পরিবারের জমির সমস্যার সমাধান চেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত মেম্বার রেজাউল ইসলামকে লিখিত জানাই, এল. আর ফাইনাল প্রকাশ হওয়ার পর সমাধান করবেন বলেছিলেন, কিন্তু মেম্বার এর নির্দেশের বাইরে গিয়ে কুরবান মল্লিকরা জোর করে আমাদের না জানিয়ে জমি মাপতে শুরু করে এবং জমি দখল এর চেষ্টা করে, আমাদের উপর আক্রমণ করে, কোর্ট এর নির্দেশে জমি দখল বন্ধ হয়েছে , পুলিশ প্রশাসনের এর নজরে আছে । এদিকে ভাঙর ১ ব্লকের তৃনমূল সভাপতি কাইজার আহমেদ জানান, এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। অভিযোগ সত্যি হলে পুলিশ আইন গত ব্যবস্থা নেবেন। মমতা ব্যনারজীর রাজ্যে এই ধরনের অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না।

অভিযুক্তরা  কিছু প্রভাবসালি এর সহযোগিতায় তাণ্ডব করছে, জেলা বার সেক্রেটারি ইতিমধ্যে আইসি ও এসপি কে বিস্তারিত  জানিয়েছেন, জেলার আধিকারিকদের ডেপুটেশন দেওয়ার চিন্তা ভাবনাও করা হচ্ছে।