news bazar24: বউবাজার কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা বউবাজারের নাম কে না শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি এমন বাজারের কথা শুনেছেন যেখানে বাড়ির বৌদের কেনা বেচা বা ভাড়া দেওয়া হয়? আশ্চর্যের বিষয় হল, একবিংশ শতাব্দীতেও এমন একটি বাজারের অস্তিত্ব যেখানে স্ত্রীদের কেনা-বেচা হয়। আর তা এই দেশ ভারতেই হয় ।

মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী গ্রাম। জানা যায়, এখানে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী বউ ভাড়া করার রেওয়াজ রয়েছে। এখানে নারীকে পণ্য হিসেবে ‘ক্রয়’ এবং ‘বিক্রয়’ করা হয়। বর্তমানে নারীর নিরাপত্তা, নারী স্বাধীনতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে রাষ্ট্র ও দেশসহ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন চলছে। তখন শিবপুরী গ্রামের বাসিন্দাদের এই জঘন্য প্রথা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ এই নিন্দনীয় প্রথা ও দধিচা প্রথা তাদের সমাজে বহুদিন ধরে চলে আসছে। তাই তাদের আলাদা করে চিন্তা করতে হবে না।

সূত্র বলছে , এই রীতি অনুযায়ী দরিদ্র পরিবারের নারীদের খোলা বাজারে নিলাম করা হয়। আর্থিকভাবে সচ্ছল পুরুষরা দূরদূরান্ত থেকে ওই বাজারে আসেন নারীদের ভাড়া নিতে । মহিলাদের বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে ভাড়া করা হয়। চুক্তিও হয় ১০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে । পুরুষরা মহিলাদের ভাড়া করে এবং এক বছরের বা তার বেশি সময়ের চুক্তিতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। যদি ইচ্ছা হয়, ক্রেতা চুক্তি নবীকরণ বা রেনুয়ালও করতে পারেন। তবে আবার আসক্তি মিটে গেলে, পুরুষরা একটি নতুন চুক্তি করে নতুন বউকেও ঘরে আনার স্বাধীনতা রয়েছে ।

জানা গেছে, নারীদের দাম শুরু হয় অন্তত ১৫ হাজার টাকা থেকে। তবে নারীদের ভাড়া বা কেনার দাম লাখ টাকার সীমাও ছাড়িয়ে যায় । সূত্রের খবর, কুমারী মহিলাদের বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি দামে।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে প্রশাসন থেকে শুরু করে শিল্পী, ডাক্তার, প্রকৌশলী, পাইলট সব স্তরেই নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। নারীরা স্বাবলম্বী।

সেখানে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী গ্রামে এই কুৎসিত দধিচা প্রথা চলছে বিনা বাধায়। ধনী পুরুষরা নারীদের ভাড়া করে নিয়ে আসে কারণ তাদের আর্থিক ক্ষমতা আছে। তাই এই নিন্দনীয় প্রথা নিয়ে সমাজের বলার কিছু নেই। সবকিছু দেখার পর পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো বলে মেনে নিয়েছে প্রশাসনও। তাইতো এই দধিচা প্রথায় দিনের পর দিন সতীদাহ প্রথার মত বলি হচ্ছে শিবপুরীর দরিদ্র মহিলারা!