চন্দ্রযান অবতরণের আঁক গোপনে কষেন নির্নিমেষ

NEWS BAZAR24:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একাধিক ব্যক্তিত্বের নাম যার মধ্যে অন্যতম একটি নাম নির্নিমেষ দে, বছর ২৩ এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র। বাড়ি রানাঘাট শহরের কামারপাড়া স্বামী বিবেকানন্দ সরণীতে। একটি ছোট্ট বাড়িতে থাকেন নির্নিমেষ ও তাঁর পুরো পরিবার।

বাবার নাম নির্মল কুমার দে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। মা টিংকু দে, ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইসরোর সহযোগিতালিকায় যুক্ত হয়েছে। করোনা অতিমারির সময়ে যাদবপুরের বেশ কয়েকজন স্নাতক স্তরের পড়ুয়ারা শুরু করেছিল প্রযুক্তি বিষয়ে ইসরোর রেসপন্স প্রকল্পের কাজ। সেই প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন নদীয়ার রানাঘাটে নির্নিমেষ দে। বেশ কয়েকটা দিন আগেই চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে অবতরণ করেছে যে পরিতৃপ্তি ইসরোর বিজ্ঞানীদের চোখে মুখে ঠিক সেই তৃপ্তি যাদবপুরের এই প্রাক্তনের মুখেও।

২০২০ সালে যখন ইসরো চন্দ্রযান ৩ অভিযানের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। ল্যান্ডার প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার রেসপন্স প্রকল্পে যোগ দিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক যারা মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একজন হলেন অমিতাভ দাশগুপ্ত আর একজন সায়ন চট্টোপাধ্যায় তাঁদের সাথে যুক্ত ছিলেন কিছু ছাত্রও। তবে জানলে অবাক হতে হয় এই নির্নিমেষ একটি মাত্র শর্তেই এই প্রকল্পের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন সেটি হল তাঁর কাজ সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে রাখতে হবে। তেমন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি।

থ্রাস্টার ফায়ারিং সিকোয়েন্সকে গাণিতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চন্দ্রযানের সফট ল্যান্ডিং করানো যায় সেটিই ছিল তাঁর দায়িত্ব। বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। তবে এসবের বাইরে তাঁর গবেষণামূলক কাজ করতে ভীষণ মন চায় তাই তিনি দেশের জন্য কিছু করে যেতে পারলে তিনি ভীষণ খুশি হবেন।