গঙ্গায় পাওয়া গেল নিখোঁজ প্রৌঢ়ের দেহ, অভিযোগ আত্মহত্যায় প্ররোচনার

BEWS BAZAR24:
হরিদেবপুরের বাসিন্দা বছর ৬২ গৌতম ঘোষ যিনি পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন, যার পরে তার দেহ পাওয়া গেল গঙ্গায়। গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ থানা এলাকার নজিরগঞ্জের গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার হয় একটি দেহ এবং যার পরে সেই দেহের ছবি দেখানো হয় গৌতম বাবুর পরিবারের সদস্যদের, কিন্তু তখন সেই দেহ শনাক্ত করা যায়নি। এরপর শুক্রবার এসএসকেএম এর মর্গে এই দেহটি তার পরিবারের সদস্যদের দেখানো হয় তাতেও তার পরিজনেরা চিহ্নিত করতে পারেননি। এরপরেই পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন অবশেষে শেষের দিনে গৌতম বাবুর স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায় এবং তাদের দেখানো হয় দেহের জামাকাপড় যেটা দেখেই গৌতম বাবুকে শনাক্ত করা হয়।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পরবর্তীকালে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে পৌঢ়ের জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই বিষয়ের রহস্য এখনো শেষ হয়ে যায়নি। গৌতম বাবুর মোবাইলটি বৃহস্পতিবার পুলিশের দ্বারা উদ্ধার করা হয়েছে। সাথে উদ্ধার করা হয় একটি সুইসাইড নোট।

এই সুইসাইড নোটের ভিত্তিতেই মৃত গৌতম বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে গৌতম বাবুর ভাই সহ এলাকার তিনজন প্রমোটারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য এফ আই আর দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, হরিদেবপুর থানার মতিলাল গুপ্ত রোডে পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন গৌতম বাবু ।

গত রবিবার থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অন্যদিকে তার ফোনে ফোন করা হলে ক্রমাগত তার ফোন বেজেই চলছিল। এরপরে ফোনের নেটওয়ার্কের লোকেশন যাচাই করে জানা যায় মোবাইলটি হরিদেবপুর থানারই কালিপদ মুখার্জি রোডে রয়েছে। এরপরেই ওই এলাকার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে একটি গাড়ির পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার এই গাড়ি উদ্ধার হয় সাথে গৌতম বাবুর মোবাইল, আংটি এবং একটি সুইসাইড নোট। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই গাড়িটি তারই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই সুইসাইড নোটে মৃত গৌতম বাবু চারজনকে দায়ী করেছেন। সেই চারজন হলেন তার নিজের ভাই এবং তিনজন প্রোমোটার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত গৌতম বাবুরা দুই ভাই দুই বোন। তাদের দশ কাটা জমি ছিল কালিপদ মুখার্জী রোডে। আট বছর আগে প্রোমোটারকে তারা দেন। অভিযোগ ওঠে যে গৌতম বাবুর যে ফ্ল্যাট বা টাকা পাওয়ার কথা ছিল সেটির বিনিময়ে তা তিনি পাননি। যার কারণে তিনি চুক্তিপত্রে সই করেননি। জানা গেছে এই চুক্তিপত্রে সই না করার জন্য মৃত গৌতম বাবুকে বারবার চাপ দেয়া হচ্ছিল।