Friday , 2 August 2019 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

ঈশ্বর এক হলে এত দেব-দেবী থাকার কারণ কি ?

প্রতিবেদক
Sankar Chakraboty,Admin
August 2, 2019 6:34 pm

                                                                                               -সন্তোষ চক্রবর্তী

শ্রীমদ্ভগবদগীতার নবম অধ্যায়ের ১৬ থেকে ১৯তম শ্লোকে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন-
আমি শ্রৌত যজ্ঞ, আমি স্মার্ত যজ্ঞ, আমি পিতৃযজ্ঞ, আমি ঔষধি অন্ন বা ভেষজ, আমিই হোমাদি সাধন ঘৃত, আমি অগ্নি, আমি এজগতের পিতা-মাতা-বিধাতা-পিতামহ যা কিছু জ্ঞেয় এবং সব পবিত্র বস্তু তা আমিই।
আমি ব্রহ্মবাচক ওঙ্কার আমি ঋগ্ ,সাম,যজুর্বেদ স্বরূপ। আমি গতি আমি প্রভু, আমি শুভাশুভ, আমি রক্ষক, আমি স্রষ্টা, আমি সংহর্তা এবং আমি ভূমি হতে জল আকর্ষন করি, আমিই পুর্নবার জল বর্ষণ করি। আমি জীবের জীবন, আমিই জীবের মৃত্যু।”
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে ঈশ্বর শুধু আমাদের সৃষ্টি কর্তাই নন, তিনিই সবকিছু বা সব কিছুতেই তিনি আছেন। ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং সর্বত্র বিরাজমান বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে একটিই ' সত্ত্বা ' আছে তা হলো ঈশ্বর আর অন্য সবকিছু তাঁরই ' বহুরূপে প্রকাশ ' মাত্র। অর্থাৎ সর্বভূতের ন্যায় সর্ব দেবতাও একই ঈশ্বরের গুনের বিভিন্ন রূপের প্রকাশ।
গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ১১তম শ্লোকে ভগবান স্বয়ং বলেছেন-
যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাং স্তথৈব ভজাম্যহম্।
মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ॥
অনুবাদঃ- হে অর্জুন, যে ব্যক্তি যেভাবে আমাকে ভজন করে, সে ব্যক্তিকে আমি সেভাবে তুষ্ঠ করি।
সহজ কথায় ভগবানের বিভিন্ন শক্তিকে আমরা বিভিন্ন দেব-দেবী রূপে পূজা করে থাকি। তবে ভগবানকে আমরা কখনো বহু চিন্তা করি না। আমাদের চারপাশে আমরা যে সব দেব-দেবীর পূজা করি বা হতে দেখি মূলত তা ঈশ্বরের বিভিন্নরূপের প্রতীকেরই প্রার্থনা করি।আমি কেন বলব
সাধুজী আরেকবার বললেন, একবার রাধা বল। 
শেষে ছেলেটি বলল, এই যে আমি রাধা বললাম, কিন্তু কি ফল লাভ হল?
তখন সাধুজী বললেন, “যখন তুমি মরে যাবে, তখন তুমি যমরাজকে জিজ্ঞাসা করো, একবার রাধা নাম বলার
কী মহিমা!” এই বলে সাধুজী চলে গেলেন।

ছেলেটি একদিন মারা গেল, সে সাধুর কথামত যমলোকে গিয়ে যমরাজকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি আমাকে স্বর্গে বা নরক পাঠানোর আগে বলুন একবার রাধা নাম বলার মহিমা কি?
যমরাজ বললেন, “আমি তো জানি না কী মহিমা, মনে হয় ইন্দ্রদেব জানে, চল উনার কাছে যাই।” 
ছেলেটি দেখল, যমরাজ কিছু বলতে পারলো না। তখন সে যমরাজকে বলল, আমি এমনিতে যাব না, পালকীতে যাব, তখন পালকী আনা হল। 
ছেলেটি পালকি বাহকদের বলল, আপনারা যান, যমরাজজী আপনি ওদের জায়গায় পালকি নিয়ে চলুন। যমরাজ আর ছেলেটি  ইন্দ্রদেবের কাছে এলেন।
ইন্দ্রদেব বললেন, এই ছেলেটি কোন বিশেষ কেউ নাকি
যমরাজ বলল, ছেলেটি পৃথিবী থেকে এসেছে, আর একবার রাধা নাম বলার মহিমা কি জানতে চায়। আমি জানি না তাই আপনার কাছে একে নিয়ে এলাম, আপনি বললেন একবার রাধা নাম বলার মহিমা কি
ইন্দ্রদেব বললেন, আমি শুনেছি অনেক মহিমা আছে , তবে বলতে পারব না। এটা বলতে পারবে ব্রহ্মাদেব।
এবার ছেলেটি ইন্দ্রদেবকে বললেন, দেবরাজ আপনিও আসেন পালকীটা নিয়ে ব্রহ্মলোকে চলেন।
ব্রহ্মাজী বললেন, এটা কোন মহান ব্যক্তি, যাকে যমরাজ, দেবরাজ পালকীতে নিয়ে আসছে। এ কে?
যমরাজ আবার ছেলেটির পরিচয় এবং তার প্রশ্নটি ব্রহ্মাজীকে বললেন।
ব্রহ্মাজী বললেন, ভগবানের মহিমা অনন্ত। কিন্তু রাধা নামের মহিমা কি আমি বলতে পারব না। শংকরজী অবশ্যই রাধা নামের মহিমা কি তা জানেন।
ছেলেটি ব্রহ্মাদেবকে পালকির তৃতীয় বাহক হতে বলল। পালকী নিয়ে যমরাজ, ইন্দ্রদেব এবং ব্রহ্মাদেব কৈলাসের উদ্দেশ্যে চললেন শংকরজীর কাছে। 
শংকরজী বললেন, একে? কোন বিশেষ ব্যক্তি! যাকে যমরাজ, দেবরাজ এবং ব্রহ্মাদেব পালকীতে বহন করে নিয়ে এসেছেন!
এবার ব্রহ্মাজী ছেলেটির পরিচয় এবং ছেলেটির প্রশ্ন শংকরজীর কাছে বললেন। 
ব্রহ্মাজী আরও বললেন, আপনি সদা সমাধিতে ধ্যানে করেন। আপনি নিশ্চয় জানবেন।
শংকরজীও ব্রহ্মাজীর মতো একই কথা বললেন। 
শংকরজী উত্তর না দিতে পেরে বললেন, ভগবান বিষ্ণু নিশ্চয় জানেন।
ছেলেটি শিবজীকে পালকীর চর্তুথ বাহক হতে বলল। যমরাজ, দেবরাজ, ব্রহ্মাদেব এবং মহাদেব পালকীতে করে ভগবান বিষ্ণুর কাছে ছেলেটিকে নিয়ে এলেন এবং ভগবান বিষ্ণুকে জিজ্ঞাসা করলেনএকবার রাধা নাম বলার মহিমা কি?
ভগবান বিষ্ণু বললেন রাধা নামের মহিমা হল, “যে ব্যক্তি একবার রাধা নাম বলবে তাকে পালকীতে করে চার দেব বহন করে আমার কাছে নিয়ে আসবে। আর এই ব্যাক্তিটি রাধা নামের গুনে এখন থেকে আমার পাশে আমার ধামে থাকব।”

আজ রাধা নামের মহিমা নিয়ে আলোচনা করবো
এক ব্যক্তি বৃন্দাবনে একবার এক মহান সাধুর কাছে গেলেন। তিনি সাধুর কাছে গিয়ে বললেন, “সাধুজী, আমার একটি ছেলে আছে, সে ভগবানকে মানে না। সে পূজা পাঠ করে না, যখন তকে বলি সাধুসঙ্গ কর, সে বলে কোন সাধুসন্তকে মানে না। আপনি কিছু একটা করুন, আমার ছেলে যেন নরকে না যায়।” 
সাধুজী বললেনঠিক আছে। আমি একদিন তোমার বাড়ীতে যাব।
সাধুজী একদিন ঐ ব্যক্তির বাড়ী গেলেন, তার ছেলেকে বললেন, ' ' বেটা, একবার রাধা বল।” 
ছেলেটা বলল, আমি কেন বলব
সাধুজী আরেকবার বললেন, একবার রাধা বল। 
শেষে ছেলেটি বলল, এই যে আমি রাধা বললাম, কিন্তু কি ফল লাভ হল?
তখন সাধুজী বললেন, “যখন তুমি মরে যাবে, তখন তুমি যমরাজকে জিজ্ঞাসা করো, একবার রাধা নাম বলার
কী মহিমা!” এই বলে সাধুজী চলে গেলেন।

ছেলেটি একদিন মারা গেল, সে সাধুর কথামত যমলোকে গিয়ে যমরাজকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি আমাকে স্বর্গে বা নরক পাঠানোর আগে বলুন একবার রাধা নাম বলার মহিমা কি?
যমরাজ বললেন, “আমি তো জানি না কী মহিমা, মনে হয় ইন্দ্রদেব জানে, চল উনার কাছে যাই।” 
ছেলেটি দেখল, যমরাজ কিছু বলতে পারলো না। তখন সে যমরাজকে বলল, আমি এমনিতে যাব না, পালকীতে যাব, তখন পালকী আনা হল। 
ছেলেটি পালকি বাহকদের বলল, আপনারা যান, যমরাজজী আপনি ওদের জায়গায় পালকি নিয়ে চলুন। যমরাজ আর ছেলেটি  ইন্দ্রদেবের কাছে এলেন।
ইন্দ্রদেব বললেন, এই ছেলেটি কোন বিশেষ কেউ নাকি
যমরাজ বলল, ছেলেটি পৃথিবী থেকে এসেছে, আর একবার রাধা নাম বলার মহিমা কি জানতে চায়। আমি জানি না তাই আপনার কাছে একে নিয়ে এলাম, আপনি বললেন একবার রাধা নাম বলার মহিমা কি
ইন্দ্রদেব বললেন, আমি শুনেছি অনেক মহিমা আছে , তবে বলতে পারব না। এটা বলতে পারবে ব্রহ্মাদেব।
এবার ছেলেটি ইন্দ্রদেবকে বললেন, দেবরাজ আপনিও আসেন পালকীটা নিয়ে ব্রহ্মলোকে চলেন।
ব্রহ্মাজী বললেন, এটা কোন মহান ব্যক্তি, যাকে যমরাজ, দেবরাজ পালকীতে নিয়ে আসছে। এ কে?
যমরাজ আবার ছেলেটির পরিচয় এবং তার প্রশ্নটি ব্রহ্মাজীকে বললেন।
ব্রহ্মাজী বললেন, ভগবানের মহিমা অনন্ত। কিন্তু রাধা নামের মহিমা কি আমি বলতে পারব না। শংকরজী অবশ্যই রাধা নামের মহিমা কি তা জানেন।
ছেলেটি ব্রহ্মাদেবকে পালকির তৃতীয় বাহক হতে বলল। পালকী নিয়ে যমরাজ, ইন্দ্রদেব এবং ব্রহ্মাদেব কৈলাসের উদ্দেশ্যে চললেন শংকরজীর কাছে। 
শংকরজী বললেন, একে? কোন বিশেষ ব্যক্তি! যাকে যমরাজ, দেবরাজ এবং ব্রহ্মাদেব পালকীতে বহন করে নিয়ে এসেছেন!
এবার ব্রহ্মাজী ছেলেটির পরিচয় এবং ছেলেটির প্রশ্ন শংকরজীর কাছে বললেন। 
ব্রহ্মাজী আরও বললেন, আপনি সদা সমাধিতে ধ্যানে করেন। আপনি নিশ্চয় জানবেন।
শংকরজীও ব্রহ্মাজীর মতো একই কথা বললেন। 
শংকরজী উত্তর না দিতে পেরে বললেন, ভগবান বিষ্ণু নিশ্চয় জানেন।
ছেলেটি শিবজীকে পালকীর চর্তুথ বাহক হতে বলল। যমরাজ, দেবরাজ, ব্রহ্মাদেব এবং মহাদেব পালকীতে করে ভগবান বিষ্ণুর কাছে ছেলেটিকে নিয়ে এলেন এবং ভগবান বিষ্ণুকে জিজ্ঞাসা করলেনএকবার রাধা নাম বলার মহিমা কি?
ভগবান বিষ্ণু বললেন রাধা নামের মহিমা হল, “যে ব্যক্তি একবার রাধা নাম বলবে তাকে পালকীতে করে চার দেব বহন করে আমার কাছে নিয়ে আসবে। আর এই ব্যাক্তিটি রাধা নামের গুনে এখন থেকে আমার পাশে আমার ধামে থাকব।”

 

 

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - মালদা

আপনার জন্য নির্বাচিত

স্বপ্নে মন্দির দেখেন অনেকেই – ব্যাখ্যা দিলেন স্বপ্ন বিশেষজ্ঞরা

রাখি বন্ধন উৎসব পালিত বালুরঘাটে।

ইংরেজ বাজার শহরে ৮৮ জন, জেলায় মোট আক্রান্ত্র ১৫৯ !করোনা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক মহল

শতবর্ষে জয় দিয়ে শুরু ইস্টবেঙ্গলের, ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় খেলায় ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে জয়ী হল ।

Malda news:মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ সবজি ব্যবসায়ী

প্রখ্যাত বলিউড অভিনেতা ও শিবসেনা নেতা গোবিন্দা গুলিবিদ্ধ

“কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে  না ! আপনাদের ভুল বলছেন মুখ্যমন্ত্রী ” ! ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বগুরু’ উত্তর মালদার  জনসভায়  দাবি রাজনাথের 

শিলিগুড়িতে উদ্ধার এক কেজি ব্রাউন সুগার ও নগদ ৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা গ্রেপ্তার ৫

WB Assembly By-Election2024: রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মামলায় আইনজীবী বদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী