আরজিকর কাণ্ডের আবহে সরকার এবং চিকিৎসকদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে চিকিৎসকদের জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Newsbazar24:আরজিকর কাণ্ডে চিকিৎসক এবং সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তার ক্ষতে প্রলেপ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সোমবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে রাজ্যের চিকিৎসকদের মেগা সমাবেশে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী।
২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যাতে চিকিৎসক এবং সরকারের দূরত্ব কোনোভাবেই আঁচ না লাগে তার জন্য তিনি দরাজ হস্ত ছিলেন এদিন।
এদিন তিলোত্তমার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন আর জি কর কাণ্ডের পরেই, রাজ্য সরকার অপরাজিতা বিল নিয়ে তৎপর হয়েছে।
বাম আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অবহেলা করা হয়েছে। একজন রাজ্যমন্ত্রী ওই দফতর দেখতেন। আমি নিজের হাতে দফতরটা রেখেছি, কারণ একজন রাজ্যমন্ত্রীর পক্ষে এটা দেখা সম্ভব নয়।
চিকিৎসকদের উদ্দেশে তার বার্তা চিকিৎসক মানে সেবা-নিষ্ঠা-জ্ঞান-মানবতা-উদারতা-সংবেদনশীলতা-সমবেদনা ধৈর্য। মানুষ বিপদে পড়ে চিকিৎসকদের কাছেই যান। চিকিৎসকরা একটু ভাল ব্যবহার, ভাল চিকিৎসা দিলে সাধারণ মানুষ খুশি হন।
তার আমলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কি কি উন্নতি হয়েছে তিনি তার খতিয়ান তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বলেন রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের বিরোধী নয়। সরকার তাদের কথা সবসময় ভাবে।
তারপরেই চিকিৎসকদের জন্য একের পর এক সুবিধা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-
ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, পোস্ট ডক্টরেট ট্রেনির ভাতা বাড়ল ১০ হাজার টাকা করে।
সর্বস্তরের সিনিয়র ডাক্তারদের বেতন বাড়ল ১৫ হাজার টাকা।
ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস সম্পর্কে তার ঘোষণা,
সরকারি হাসপাতালে ন্যূনতম আট ঘণ্টা পরিষেবা দিতে হবে। তার পরে চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন। সরকারি পরিষেবা দেওয়ার সময় হাসপাতালে থাকার আবেদন করেন তিনি। এছাড়াও আগে সরকারি হাসপাতালের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারতেন চিকিৎসকরা, সেই পরিধি বাড়িয়ে ৩০ কিলোমিটার করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মেদিনীপুর কাণ্ডে যে সব জুনিয়র চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তাদের তাদের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল যাতে তাদের সাংস্কৃতিক কার্যকর্যকলাপ ,খেলাধুলো জারি রাখতে পারে, তারজন্য ২ কোটি বরাদ্দ।