আজ পেনশন ভোগী দিবস এর তাৎপর্য ও প্রেক্ষাপট জানতে পড়ুন

Newsbazar24:পেনশনভোগী দিবস বা ‘পেনশনার দিবস’ হল দেশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মর্যাদা ও শালীনতা নিশ্চিত করণে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক যুগান্তকারী রায় প্রদানের দিবস।
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর ভারতের সর্বোচ্চ আদালত আদালত রায় প্রদান করে যে পেনশন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মর্যাদা ও শালীনতা নিশ্চিত করে। তারপর ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বৎসর ১৭ ডিসেম্বর পেনশনভোগী দিবস বা পেনশনার দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। পেনশনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে ১৮৫৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ব্রিটিশ সরকার ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের পেনশন ব্যবস্থার অনুসরণে ভারতে যে পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা করে, তা ছিল কেবল করুণাযুক্ত।
ভারতীয় পেনশন আইন, ১৮৭১ অনুসারে দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু সেটি মৌলিক অধিকার হিসাবে গণ্য হত না।
ব্রিটিশ সরকার মাঝে মাঝে পেনশনভোগীদের মূল্যস্ফীতির জন্য তাদের পেনশন বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেয়। সরকার অবসর গ্রহণের সুবিধা প্রদান করছে, তবুও ১-১-১৯২২ থেকে কার্যকর করা মৌলিক বিধিগুলিতে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ডি এস নাকারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আর্থিক উপদেষ্টা ১৯৭২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি অন্যান্য পেনশনভোগীদের মতো পেনশন পেতে সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন তিনি। বিচারপতি যশবন্তরাও চন্দ্রচূড়, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পিটিশনকারী এবং সরকারের কথা শুনে রায় দেন যে ‘পেনশন একটি উপহার বা পুরস্কার বা অনুদান নয়’ পেনশন হল একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর অধিকার যিনি দীর্ঘকাল ধরে দেশের সেবা করেছেন। এই ঐতিহাসিক রায় জারি করা হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮২-এ। মাননীয় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের উপরোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ রায় ভারতের জজপেনশনভোগীদের যথোপযুক্ত মর্যাদা দিয়েছে
এই রায়ের কারণে কুড়ি লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট রায়, পেনশন প্রথমত পেনশনভোগীর অধিকার হিসাবে বিবেচিত হয় এবং দ্বিতীয়ত সম্মানজনক জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত হওয়া উচিত। যাইহোক, সরকার পেনশনভোগীদের অবস্থার বিশদ বিবরণ অধ্যয়ন করতে এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রকৃত অর্থে প্রতিকারের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে (যা ৬ তম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন বা ৬ তম সিপিসি নামে পরিচিত)।
অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশন সমস্ত স্তরের পেনশনভোগীদের বিভিন্ন অভিযোগ বিবেচনা করার জন্য ডেটা এবং সুপারিশ প্রদানের জন্য এগিয়ে ছিল।বর্তমানে ভারতে পেনশনভোগীর সংখ্যা ৭৩ লক্ষের ও বেশি এবং ভারত সরকারের ‘পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ দফতর’ নামক স্বতন্ত্র বিভাগও তাদের কল্যাণে বিভিন্ন দিকে নজর রাখে।