বসিরহাটের প্রার্থী রেখাকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা, লাঠি নিয়ে তাড়ানোর অভিযোগ, কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!

Newsbazar24:বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা। বিজেপি ও তৃণমূল দুই পক্ষই বসায় জড়িয়ে পড়েন। এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিত। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মাটিয়া থানা এলাকার খড়িডাঙা। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, গোলমালে রেখার প্রচার না করে ফিরে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সোমবার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের খড়িডাঙ্গায় বিজেপি প্রার্থী রেখার দেওয়াল লিখনে কালি দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি। কালিদাস বাছার নামে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি, সেখানে কালিদাসকে দেখতে গিয়েছিলেন রেখাও। নতুন করে গোলমালের সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। মঙ্গলবার সকালে খড়িডাঙায় যান রেখা। সঙ্গে ছিলেন অর্চনা মজুমদারের মতো বিজেপি নেত্রীও। কিন্তু সকালে গাঁয়ে রেখাদের দেখেই পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হতে থাকে। জায়গায় জায়গায় রেখাদের আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রেখাদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা সকলেই তৃণমূলের লোক। বিক্ষোভ দেখানো নয়, রেখার প্রচার ভন্ডুল করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তর্কাতর্কি গড়ায় হাতাহাতিতে। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় খড়িডাঙা। গ্রামের মহিলারা রেখাকে ঘিরে ধরে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। মেজাজ হারান রেখাও। আঙুল উঁচিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তরজায় জড়াতে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থীকে। নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত রেখাকে সেখান থেকে বার করে দেন। বিজেপি নেত্রী অর্চনার দাবি, বিক্ষোভকারীরা তাঁকে মারধর করেছে।
বিজেপির অভিযোগ, খড়িডাঙ্গা গ্রামের প্রধান সমীর বাছার, তাঁর ভাই মৃণাল বাছার ও সিভিক ভলান্টিয়ার বাবলু বাছার আক্রমণ চালায়। বিজেপি প্রার্থী রেখার উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। লাঠির ঘায়ে রেখা ছাড়াও অর্চনা মজুমদার ও দুলাল রায় আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি।
প্রশ্ন উঠছে এভাবে বারে বারে রাজ্যের শাসক দলের বিরোধী প্রার্থীদের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? তাহলে কি রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়েছে? আর এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই বা কি?