Newsbazar24:মানুষ যখন প্রশাসনের দূরে ঘুরতে ঘুরতে বিচার পায় না পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের বলেও তাদের কাছে কোন আশার আলো থাকে না তখন তারা বাধ্য হয়েই বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হয়। মানুষ মনে করে তাদের শেষ ভরসাস্থল এই বিচার ব্যবস্থা। রাজনৈতিক নেতারা যখন এই বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে বিশেষ করে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ে।
সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সর্ববৃহৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি র ২০১৬ সালের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করেছে। ভোটের দামামা বাজছে গোটা রাজ্যজুড়ে। তাই শাসক দল ক্ষুব্ধ। বিরোধীরা উল্লসিত। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ২০১৬ সালের পরীক্ষার প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেয়। শুধু তাই নয়, বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের ফেরাতে হবে বেতন,তাও ১২ শতাংশ সুদ সমেত। আর এই নিয়েই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন,আট বছর যাঁরা চাকরি করলেন তাঁরা বেতন কীভাবে ফেরত দেবেন?
সোমবার ভোট প্রচারে গিয়ে এই রায়ের খবর শুনতে পান মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ দিনাজপুরের করনদিঘির নির্বাচনী মঞ্চ থেকে তিনি গর্জে ওঠেন, বিচারপতিদের কাকের সাথে তুলনা করে কটাক্ষ করে বলেন, কাকের স্বর কখনও পালটায় না।’ তেমন বিচারপতিদেরও একই অবস্থা। পাশাপাশি তিনি বলেন, “রায় নিয়ে বলার অধিকার আমার রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল মানে প্রায় দেড় লক্ষপরিবার। আপনারা যাঁরা এই রায়টা দিচ্ছেন, সারা জীবন আপনারা যাঁরা চাকরি করলেন, তাঁদের যদি টাকা ফেরত দিতে বলা হয় পারবেন দিতে? মুখ্যমন্ত্রী এও শুনিয়ে দেন, “সবাই তো সরকারি টাকায় চলেন, সরকারের গাড়িতে চড়েন, সরকারি নিরাপত্তা পান। আমরা আপনাদের সম্মান করি।” এরপর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “আমি এই অর্ডারকে বেআইনি বলছি।” এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি কি বিচার ব্যবস্থাকে ধমকাতে চাইলেন? এই প্রশ্ন উঠছে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তো যাওয়াই যায়। কিন্তু রায়কে বেআইনি বলা কি আদালত অবমাননা নয়, – প্রশ্ন তুলছেন বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা। তাদের প্রশ্ন রায় নিজের অনুকূলে না গেলেই বিচারব্যবস্থাকে ধমক দিতে হবে? তারা এ ব্যাপারে হাইকোর্টের অবমাননার মামলার চিন্তা-ভাবনা করছেন।
বিরোধী এজেন্টদেরকে মারধর ,ভোটারদেরকে বুথে যেতে বাধা শুরু হলো বাংলার চতুর্থ দফা নির্বাচন
Spread the loveশুরু হলো চতুর্থদফার লোকসভা নির্বাচন। বাংলায় সাত কেন্দ্রে ভোট। আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বঙ্গের সেই চিরাচরিত ছবি ভোট শুরু না হতে হতেই বিরোধী এজেন্টদেরকে ভুতে ঢুকতে বাধা…