Newsbazar24:গত সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যোগ্য অযোগ্য মিলিয়ে চাকরি হারিয়েছেন স্কুলে কর্মরত ২৫,৭৫৩ জন। আদালতের রায়ে কার্যত দিশেহারা বহু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল বার বার বলা সত্বেও অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করা হয়নি। এটা স্কুল সার্ভিস কমিশনের গাফিলতি। রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। তাই বাধ্য হয়েই ২০১৬ সালের পূর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। আজ শনিবার সেই মামলার শুনানির দিন জানাল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি হবে আগামী সোমবার ২৯ এপ্রিল। ওই দিন প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে পারে। বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পাশাপাশি এই বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট যেভাবে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে তাতে যে তাঁরা একেবারেই খুশি নন তা জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেছেন, পুরো প্যানেলই বাতিল হয়ে গেছে। যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে কোনও ভেদ করাই হয়নি। অযোগ্য ৪-৫ হাজার জনের নাম ছিল তালিকায়, সেখানে ২৬ হাজারের চাকরি চলে গেল। মূলত এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন তিনি।
এই মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আগামী ২৯ তারিখ দুপুর ১২টা নাগাদ শুনানি শুরু হবে এই মামলার।