২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চাকরি হারাদের কত বেতন সহ কত টাকা সুদ ফেরত দিতে হবে?

news bazar24: অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, এবার জেনে নিন ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চাকরি হারাদের কত বেতন সহ কত টাকা সুদ ফেরত দিতে হবে?

এসসিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যাটি ৫,৪৮৫। যারা প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন, যারা সাদা কাগজ জমা দিয়ে অথবা ওএমআর শিটে নম্বর জাল করে চাকরি পেয়েছেন, তাদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের টাকাও গুনতে হবে। সব মিলিয়ে এটি একটি বড় সংখ্যা হবে। তবে, এটি লক্ষণীয় যে এই তালিকাটি কেবল এসসিসিই দিয়েছে। তারপর বোর্ড এবং রাজ্যও আলাদা আলাদা তালিকা দিয়েছে। তাই, সংখ্যাটি এখনও স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সামনে এলে সংখ্যাটি স্পষ্ট হবে। তবে, বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন যে সংখ্যাটি পাঁচ হাজারের কম হবে না।

হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদের ১২ শতাংশ সুদ সহ টাকা ফেরত দিতে হবে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-তে অবৈধ নিয়োগের ক্ষেত্রে এই টাকা ফেরত দিতে হবে।

খবর হলো, ১৯তম এবং দশম শ্রেণীর চাকরির ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি কমবেশি ৪০ হাজার টাকা বেতন পান। এটি তার শুরুর বেতন। যদি তিনি ২০১৯ সাল থেকে বেতন পান, তাহলে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এটি প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা হবে। তারপর বেতন বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সংখ্যাটি আরও বেশি।

একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে শুরুর বেতন প্রায় ৪৪ হাজার টাকা। যদি আমরা এই হিসাবটি এগিয়ে নিই, তাহলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষক প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা বেতন পাবেন। যদি বেতন বৃদ্ধি পায়, তাহলে মোট পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য যে, এটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিবেচনা করা হচ্ছে কারণ গত বছর হাইকোর্ট এই মামলায় বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

গ্রুপ সি-এর ক্ষেত্রে, একজন ব্যক্তি চাকরির শুরুতেই ২৬-২৭ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন। তাদের বেতন বৃদ্ধি পায়। যদি আমরা শুরুর বেতন নিয়ে এগিয়ে যাই, তাহলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা হবে। গ্রুপ ডি-এর ক্ষেত্রে, যদি আমরা ১৯ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করি, তাহলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি প্রায় ১১ লক্ষ টাকা হবে। যদি বেতন বৃদ্ধি পায়, তাহলে মোট পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ, এই বেকারদের কয়েক লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে।