১৬ বছরের নীচে আর সোশ্যাল মিডিয়াই নয় ! দেশে চালু হয়ে গেলো কড়া আইন

news bazar24:  ১৬ বছরের নিচে আর কেও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস করতে পারবেন না! অপ্রাপ্তবয়স্কদের আর ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টিকটোকে অ্যাক্সেস নেই। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় একটি কঠোর আইন আনা হচ্ছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই আইন প্রণয়ন করে ইতিহাস লিখতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সারা বিশ্বে শিশুরা স্মার্টফোনের প্রতি চরমভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছে। কেউ কেউ বুঝতে না পেরে অন্ধকার ফাঁদেও পড়ে যাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে রাখতে এ বছর একটি ফেডারেল আইন প্রবর্তনের কথা বিবেচনা করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ঘোষণা করে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ এর সঙ্গে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যও জড়িত। ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলি (কিছু রাজ্যে) পিতামাতার অনুমতি ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করতে আইন পাস করেছে৷ তবে অস্ট্রেলিয়া তা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে।

যদিও আলবেনিজ এখনই সমালোচিত হচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার মিত্র আমেরিকা। তাদের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক টানাপোড়েন হতে পারে, এক্স মালিক ইলন মাস্ক এখানে একটি ফ্যাক্টর। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি সম্প্রতি একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এটি সব অস্ট্রেলিয়ানদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য একটি ব্যাকডোর’! এটি অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে বিদ্যমান বৈরিতা তৈরি করবে। অস্ট্রেলিয়া হল প্রথম দেশ যারা সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, মিডিয়া আউটলেটে তাদের বিষয়বস্তু শেয়ার করার জন্য রয়্যালটি প্রদান করে। এখন তাদের জরিমানা করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। Meta, TikTok এবং X-এর প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করেননি।

Alphabet-এর Google-এর সাবসিডিয়ারি ইউটিউব। তারা ছাড় পেয়েছে। কারণ স্কুলগুলোতে ইউটিউব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বয়স যাচাইয়ের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আইনটি স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে। কিছু যুব অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এবং শিক্ষাবিদরা সতর্ক করেছেন যে এই নিষেধাজ্ঞা এলজিবিটিকিউআইএ এবং অভিবাসী কিশোর-কিশোরীদের নেটওয়ার্কে সহায়তা প্রদান করা বন্ধ করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার কমিশন বলেছে, তবে আইনটি তরুণদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে পারে।