সাঁতার জানতেন না, ঋষির সঙ্গে জলে নেমে ডুবে যাচ্ছিলেন সোনম

NEWS BAZAR24:
শুটিং নাকি এক্সিডেন্ট তা কেউই বুঝে উঠতে পারেননি। সবারই ধারণা হয় সেটি বোধহয় শুটিংয়েরই একটি দৃশ্য যা শুট করছেন অভিনেত্রী সোনাম খান। এই নামটি আশির দশকের বলিউডে জনপ্রিয় এক নাম। অল্প সময়ের মধ্যেই যেমন নিজের ক্যারিয়ারের সাফল্য লাভ করেছিলেন তেমনি বলিউডের জগতেও তিনি খুব স্বল্প সময় ছিলেন। তাঁর করা কিছু সিনেমা হল বিশ্বাত্মা বিজয় ত্রিদেব ইত্যাদি।

বিজয় সিনেমার শুটিংয়ে ঘটেছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এক বড় বিপদ অপেক্ষা করছিল অভিনেত্রীর জন্য। ১৯৮৮ সালে এই সিনেমা মুক্তি পায়। তবে পরিচালক যশ চোপড়ার সাহায্য ছাড়া তিনি হয়তো বেঁচে ফিরতে পারতেন না কারণ অভিনেত্রী সাঁতার জানতেন না। শুটিং চলাকালীন তিনি আচকাই পড়ে যান পুলের গভীর জলে। প্রথমে আশেপাশের কেউ তা বুঝতে পারেননি, সকলেই ভেবেছিলেন এটিও হয়তো শুটিংয়েরই একটি অংশ। পরে যশ চোপড়া তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।

পরিচালক সোনম বারংবার বলেছিলেন সাঁতার শিখে নিতে কিন্তু তিনি পারেননি হাইড্রোফোবিয়া থাকার কারণে। হাইড্রোফোবিয়া হল জলে ভয়, যা থাকায় সোনাম কখনোই সাঁতার শিখে উঠতে পারেননি। বিজয় ছবির শুটিংয়ে ঋষি কাপুরের সাথে বেঙ্গালুরুর উইন্সার ম্যানারে শুটিং চলছিল। আচমকাই তিনি জলে পড়ে যাওয়ায় তা থেকে আদিত্য চোপড়ায় তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন।

অল্প সময়ের মধ্যেই সোনম কাজ করেছেন বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রীদের সাথে যেমন দিব্যা ভারতী থেকে শুরু করে মাধুরী দীক্ষিত প্রমুখ তারকাদের সাথে। তিনি ত্রিদেব সিনেমায় মাধুরী দীক্ষিতের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। তবে এক সাক্ষাৎকার সোনম জানান ইন্ডাস্ট্রিতে কেউই কোনদিন বন্ধু হয় না সকলেই প্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁর ঘনিষ্ঠ ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন কেউই ছিলেন না। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি সংসার জীবনে মনোনিবেশ করেন এবং বলিউডকে বিদায় জানান।