সন্দেশখালিতে রাস্তা, বাঁধ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্রিজ-সহ ৬৬ টি প্রকল্পে ১২৩ কোটি টাকা খরচের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Newsbazar24:যে সন্দেশখালি একসময় খবরের শিরোনামে ছিল।জমি দখল, অস্ত্র মজুত, নারীদের উপর অত্যাচার-সহ বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছিল সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু লোকসভা ভোটে তার কোন প্রতিফলন পড়েনি, বিজেপিকে হারিয়ে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয় তৃণমূল। লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রে জয়ের পর সন্দেশখালি যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সোমবার দুপুরে
সন্দেশখালির মিশন মাঠে সরকারি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রীর। রাস্তা, বাঁধ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্রিজ-সহ একাধিক পরিষেবার ঘোষণা।
সরকারি পরিষেবাগুলোকে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিতে আগামি দিনে সন্দেশখালিতে নতুন মহকুমা হবে বলে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। আবাসের টাকা নিয়ে সন্দেশখালি থেকে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার। তিনি আরও বলেন, “জিএসটির টাকা থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের খরচ করি। ৪৫০০ কোটি খরচ করে বাংলায় জল প্রকল্প হয়েছে। মা-বোনেরা যতদিন বাঁচবেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন।”পাশাপাশি তিনি আরো বলেন,সন্দেশখালিতে গ্রামীণ হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে। ২৬ জানুয়ারির পর নতুন করে সন্দেশখালি-সহ দুর্গম এলাকাগুলিতে ফের দুয়ারে সরকার শিবির করতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চলবে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমেই জাতিগত শংসাপত্রের সমস্যা মেটানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সন্দেশখালিতে ব্রিজ নির্মাণের আবেদনের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান,একটি ব্রিজের কথা বলে গেলাম। আগে দুটি ব্রিজ করে দিয়েছি। টাকার সংস্থান করে আবার ব্রিজ বানাব। তবে যাতায়াতের সুবিধের জন্য জেটিঘাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোটের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। আর মেয়েরা, কেউ ডাকলে চলে যাবেন না। টাকার অঙ্কের খেলা হয়েছে। সব ভাঁওতা। যা হয়েছে, ভুলে গেছি। মনে রাখতে চাই না। দাঙ্গা নয়, শান্তি চাই।”

মমতা আরও বলেন, বন্দুক দিয়ে সিপিএম মেরে দিতে চেয়েছিল। বিজেপির চক্রান্ত আপনারা জানেন। বিজেপির অনেক টাকা আছে। বিজেপির টাকায় হাত দেবেন না। যে বামেরা খুন করেছে, তারা বড় বড় কথা বলতে
বামেরা খুন করেছে, তারা বড় বড় কথা বলতে শুরু করেছে। বামেরা নরকঙ্কালের দল, মানুষকে খুন করার দল। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁয় কিছু ঘটলে এক সেকেন্ডের মধ্যে কানে আসবে। আমি রাত পাহারাদারের কাজ করি।”
সন্দেশখালিতে মিষ্টির ক্লাস্টার করার কথা ঘোষণা করে কোন সন্দেশ জনপ্রিয় তা জানতে চান মমতা। তিনি আরো বলেন সরকারি প্রকল্পের জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। আমি কথা কম বলি, আজেবাজে ভাষণ দিই না। কটু কথা বলা, কুৎসা রটনা, মিথ্যে বলা ছোট থেকেই শিখিনি।