শস্মান ঘাটেই মৃতদেহ নিয়ে ৫ ঘনটার ঝামেলা ! অবশেষে সমাধি , ঘটনাটি শিলিগুড়ির

news bazar24:   শস্মান ঘাটেই মৃতদেহকে শুয়ে রেখেই কেটে গেল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা।দিনভর টানটান উত্তেজনায় অবশেষে পিছু হাটতে বাদ্ধ হলো পুলিশ।সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরাম পাওয়ারগ্রিড এলাকায়।জানা গেছে সোমবার ওই এলাকারেই এক মহিলার মৃত্যু হয়।নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহ কে কবরস্থ করার জন্য শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।এ নিয়েই প্রায় ৫ঘন্টা ধরে বাগবিতোন্ডা চলল পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে।গ্রামবাসীরা ওই জমিতেই দেহ সৎকার করবে বলে অনড় হয়ে থাকে।এদিকে ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এলাকায়।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে অবশেষে পাঁচ ঘন্টা পর গ্রামবাসীদের চাপে পিছু হটল প্রশাসন। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শশীচন্দ্র বর্মন ও উপপ্রধান তুষারকান্তি দত্ত।কিন্তু গ্রামবাসীরা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন।পুলিশের তরফে তাদেরকে জানানো হয়,এই জমিতে কোর্ট থেকে ইনজাংশন জারি করা হয়েছে।তাই এই জায়গায় মৃতদেহের সমাধি দেওয়া যাবে না।কিন্তু মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা ওই স্থানেই সমাধি করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে মৃতদেহ অন্যত্র সমাধি করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও বাসিন্দারা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন।মৃতের পরিবারের অভিযোগ,পূর্বপুরুষ থেকে এই জমিটি শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে,কিন্তু আজ আমরা মৃতদেহ সমাধি করতে এলে পুলিশ কি কারণে বাধা দিচ্ছে।প্রায় পাঁচ ঘন্টা এই দাবিতে অনড় থাকার পর অবশেষে পুলিশ বা প্রশাসনের তরফে সমাধি করতে দেওয়া হয়।বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শশীচন্দ্র বর্মন বলেন,সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এদিন সমাধি করতে দেওয়া হয়।খুব শীঘ্রই শ্মশানের জন্য নির্দিষ্ট জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।