শনিবার শিশু অপহরণ নিয়ে মালদা জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের সাংবাদিক বৈঠক

news bazar24: শিশু অপহরণের পর প্রথমে বিহারে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, আন্তরাজ্য সীমান্ত সিল করে দেওয়ায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অপহরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশি গতিবিধি বেড়ে যাওয়ায় অপহৃত শিশুর বাবাকে টেলিফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশকে অপহরণের বিষয়টি জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়। পরে দুপুর তিনটে নাগাদ টেলিফোন বাবার সঙ্গে মেয়েকে সঙ্গে কথা বলিয়ে অপহরণের বিষয় জানায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সিসিটিভি ম্যাপিং এবং ফোন ট্রাকিং এর ফলে ধরা পড়ে যায় দুষ্কৃতীদের গতিবিধি। উত্তর দিনাজপুর পুলিশ, বিহার পুলিশ এবং সুন্দরবন পুলিশের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করেই উদ্ধার সম্ভব হয়েছে অপহৃত সাত বছরের শিশুকে।

ধৃত অপহরণকারী দুইজনের একজন ইজাজ আহমেদ অন্যজন মনসুর আলম। একজন ওষুধ ব্যবসায়ী অন্যজন জমি জায়গার কারবারে যুক্ত। ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পাইপগান। উত্তরদিনাজপুরের করণদিঘি থানার টুঙ্গীদিঘির কাছে এক ট্রাফিক পুলিশের নজরে পড়ে গিয়ে শিশুকে রাস্তায় ফেলে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। সেই সময়ে পিছু ধাওয়া করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল ধৃতদের তোলা হবে মালদা জেলা আদালতে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই শিশুকে অপহরণ এমনটাই প্রাথমিক অনুমান জেলা পুলিশের। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।