লোকসভা ভোটের আগে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের, সিএএ কার্যকরী করা হল

Newsbazar24:লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। সিএএ চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশ জুড়ে খুশির হাওয়া।
এ কথা বলা যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বছরের পর বছর ধরে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল বিজেপি সরকার। সেটাই এবার বাস্তবে রূপায়িত
হলে। লোকসভা ভোটের আগে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সংখ্য়ালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফিগানিস্তান থেকে আসা মানুষ ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪র আগে এসেছিলেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। এনিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যেতে হবে তাঁদের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংসদে পাশ করা হয়েছিল। সেই সময়ই মূলত অবিজেপি রাজ্য গুলি থেকেই এই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল।
ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত এবার থেকে ২০১৪ সালের আগে এসেছেন ধর্মীয় সহ নানা কারণে এসেছেন তারা এবার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। এটা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এটা কোনওভাবেই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর আইন নয়।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই সিএএ’র জন্য আবেদন করা যাবে বলে অনলাইন পোর্টালে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এজন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। আর সেই সিএএ পোর্টাল এর মাধ্যমেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। আর সেই পোর্টালটি হল – https://indiancitizenshiponline.nic.in/ দীর্ঘদিন ধরে সিএএ পোর্টাল নিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। সেই কাজ প্রায় শেষ।
লোকসভা ভোটের মুখে সিএএ চালু হওয়ার ফলে বাংলায় এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ । ওপার বাংলা থেকে লক্ষ লক্ষ শরনার্থী এদেশে এসেছিলেন। তাঁরা এতদিন নানা দোলাচলে ছিলেন। এবার স্বস্তি পাবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ঠাকুরনগরে শুরু হয়ে গিয়েছে আনন্দ ও উল্লাস। তাঁরা জানিয়েছেন, আজ আনন্দের দিন। আজ আমাদের খুশির দিন। মনে হচ্ছে যেন স্বাধীনতা পেলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ ।এদিকে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘কোনও বৈষম্য হলে মানব না।’