লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় দলের তকমা অধরাই থেকে গেল তৃণমূলের, দেখুন পরিসংখ্যান

Newsbazar24:এবারেও সর্বভারতীয় দল হবার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের। এই প্রশ্নে এবারের লোকসভা নির্বাচনে জোর ধাক্কা তাদের। যদিও পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় আসন বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি ভোট লুঠ না হলে সংখ্যা ৩৫ হত।
এর আগেই তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় দলের তকমা হারিয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তা ফিরে পাবার জন্য অন্যান্য রাজ্যে ও প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু পারফরমেন্স খুবই বাজে।
উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল তাকে সমর্থন করেছিল সমাজবাদী পার্টি। সেই আসনটি থেকে জয়লাভ করেছেন বিজেপি। বিজেপির ড. বিনোদ কুমারের ঝুলিতে ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়েছেন। তৃণমূলের ললিতেশপতি ত্রিপাঠী ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৯১০ ভোট পেয়েছেন। হারের ব্যবধান ৪৪,০৭২। অসমের কোকরাঝাড় লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী ইউপিপি লিবেরালের জয়ী প্রার্থীর থেকে তৃণমূল প্রার্থীর ব্যবধান ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৭৬, তার প্রাপ্ত ভোট ২৩৫১৯টি।লখিমপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী ঘনকান্ত চুতিয়াকে বিজেপি প্রার্থী ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯২৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৪,১৯৭টি। অসমের শিলচরে তৃণমূলের রাধেশ্যাম বিশ্বাস ভোট পেয়েছেন ২০,৪৯৩টি। জয়ী বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৯১২ ভোটে।
বরপেটা লোকসভা আসনে তৃণমূলের আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১৬,৪৩২ ভোট। জয়ী অসম গণ পরিষদ প্রার্থীর চেয়ে তিনি পিছিয়ে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৮১ভোটে। মেঘালয়ের তুরায় তৃণমূল তৃতীয় স্থানে। কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী সালেং ও সাংমার চেয়ে তৃণমূলের জেনিথ এম সাংমা পিছিয়ে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ২১০ ভোটে, তিনি পেয়েছেন ৪৮,৭০৯টি ভোট।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, অসমে তৃণমূল পেয়েছে ০.৩৭ শতাংশ ভোট। উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৪৭ শতাংশ। মেঘালয়ে ২.৮৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। এবার ত্রিপুরা ও গোয়ায় লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারেনি তৃণমূল।