লাড্ডু ,মোদক ও দূর্বা কেন গনেশের প্রিয় ? কি বলছে পৌরাণিক তথ্য ,জানুন বিস্তারিত

 প্রজাপতি কাশ্যপ , গয়া ঃ  পৌরাণিক তথ্য ঘেঁটে যা জানা যায় , একদিন  ঋষি অত্রি গণেশকে ভোজনের জন্য আমন্ত্রিত করেন। যথা সময়ে গণেশ নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে ঋষি অত্রির বাড়িতে হাজির হন । সেই সময়  স্ত্রী অনুসূয়া আহার পরিবেশন করলে, গণেশ ভোজন শুরু করেন।

কিন্তু গণেশ খেয়েই চলেছেন । কিন্তু ক্ষুধা নিবৃত্তি হচ্ছে না–দেখে অনুসূয়া চিন্তিত হয়ে পড়েন।ঘরে যা খাবার আছে তাও শেষের দিকে।  বাড়িতে কোনও অতিথি এলে তাঁকে অতৃপ্ত অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নেই।হথাৎ  অনুসূয়ার মাথায় আসে  এবার গণেশকে খাওয়ার জন্য কিছু মিষ্টি দেওয়া উচিত। সে সময় অনুসূয়া তাঁকে মোদক খেতে দেন। মোদক খেয়ে গণেশের মন ও পেট দুই–ই ভরে যায় ও তিনি প্রসন্ন হন।সেই থেকেই মত্তলোকে প্রচলন হয়ে যায় গণেশ কে মোদক নিবেদন করার।

আবার শিব পুরাণ এ কথিত আছে , পার্বতী গণেশকে ছোট বেলায়  লাড্ডু খেতে দিলে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে পড়তেন । গণেশ কিছু বায়না করে কান্না কলেই ওঁকে লাড্ডু দিতেন আর গণেশ চুপ হয়ে যেতেন।সে থেকেই  মনে করা হয়, লাড্ডুও গণেশের অত্যন্ত প্রিয়।

গণেশ পুজোর সময় কেন তাঁকে ২১টি দূর্বার গাঁঠ অর্পণ করা হয় ?

 প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, অগলাসুর নামক এক রাক্ষস ছিল, তার অত্যাচারে জীব কুল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো।  তখন সবাই মিলে গণেশ কে কিছু করার জন্য অনুরোধ করেন।  গণেশ রেগে গিয়ে তাঁকে গিলে নেন। কিন্তু এর পর তাঁর পেটে জ্বালা ধরতে শুরু করে।শুরু হয় পেটের ব্যাথা।  তখন ঋষি কশ্যপ তাঁকে ২১টি দূর্বা ঘাসের গাঁঠ বানিয়ে খেতে দেন। গণেশ খেয়ে নিলেই  পেটের জ্বালা শান্ত হয়। তখন থেকেই গণেশকে দূর্বা অর্পণ করার প্রথা শুরু হয়েছে বলে প্রচলিত রয়েছে।

আরও পড়ুন

গনেশ ঠাকুরের বউ কে ? কলাবৌ কি আসলে গনেশের বউ ? কি বলছে শিব পুরাণ …