রোগাপাতলা ফ্যাকাশে চেহারার পঞ্চমকে স্পষ্ট মনে পড়ে আশার

NEWS BAZAR24:
প্রেম মাখা দিনগুলির স্মৃতি আজও মনে পড়ে জনপ্রিয় গায়িকা আশা ভোঁসলের। আজ ২৭শে জুন রাহুল দেব বর্মনের জন্মবার্ষিকী। রাহুল দেব বর্মনের জন্মবার্ষিকীতে এসে তিনি তাঁর সেই স্মৃতি রোমন্থনই করলেন। আশা ভোঁসলে বলেন রাহুল দেব বর্মনই তাঁর যোগ্যতার যথার্থ মূল্যায়ন করতে পেরেছিলেন। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক তাদের পরিণয়ের কাহিনীটি।

১৯৮০ সালে সংগীত শিল্পী আশা ভোঁসলে ও কিংবদন্তি সুরকার রাহুল দেব বর্মন সাত পাকে বাঁধা পড়েন। তবে দুজনেরই ছিল এটি দ্বিতীয় বার বিয়ে। ব্যক্তিগত জীবনের মত তাদের সংগীতের ক্ষেত্রেও ছিল জবরদস্ত বন্ধন। তবে রাহুল দেব বর্মনের অপর একটি নাম ছিল পঞ্চম, যা তাঁকে সকলেই ভালবেসে ডাকতো।

তরুণ বয়সে রাহুল দেব বর্মন ছিলেন রোগা পাতলা ও ফ্যাকাশে এক যুবক। চোখে থাকতো সবসময় মোটা চশমা। আশাজীর বক্তব্যে জানা যায় সেই ছেলেটি তাঁর কাছে এক সময় অটোগ্রাফ চেয়েছিল কারণ আশাজীর গাওয়া রেডিওতে মারাঠি নাট্যসংগীত শুনে তাঁর অসম্ভব প্রেমে পড়ে যান রাহুল দেব বর্মন। সেই থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। ভারী মজার মানুষ ছিলেন রাহুল দেব বর্মন এবং ছিলেন প্রতিভাবানও। ভালবেসে আশাজীকে তিনি একটি ঝাড়ু ও গোলাপ উপহার দিয়েছিলেন।

জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক শচীন দেব বর্মনের পুত্র রাহুল দেব বর্মনও সংগীতের ক্ষেত্রে এনেছিলেন এক নতুন দিগন্ত। সংগীতকে অসম্ভবভাবে ভালোবাসতেন তিনি। আশা ভোঁসলের সঙ্গে তাঁর ছিল ২৫ বছরের সাংগীতিক যোগ। আশাজীর কন্ঠ দিয়ে রাহুল দেব বর্মন নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। যার ফলশ্রুতি হিসেবে পেয়েছি আমরা নানান কিংবদন্তি গান যা আজও সমান জনপ্রিয়। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালের ৪ঠা জানুয়ারি কিংবদন্তি সুরকারের অকাল প্রয়াণ ঘটে যা আমাদের কাছে অত্যন্ত কষ্টের। এমন কিংবদন্তি শিল্পী বেঁচে থাকলে গানের জগতে আরো নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার হতো।