মুর্শিদাবাদে গরুর ওষুধ খাচ্ছে মানুষ, ৩০ টাকার গরুর ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়

news bazar24: এখন গরুর ওষুধ খাচ্ছে মানুষ । তবে কোন রোগ সারাতে নয় , গরুর ওষুধ খাচ্ছে নেশায় বুদ হতে । একটু ভিন্ন স্বাদের নেশা করতে । গতকাল রাতে, একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার পুলিশ সুজিত ঘোষ নামে এক ফার্মেসির মালিককে নেতাজি মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। সাথে ১১১টি ‘ইভলিন ভেট’ ওষুধ উদ্ধার করে ।

বেআইনিভাবে এই গরুর ওষুধ বিক্রির অভিযোগে প্রথমবার মুর্শিদাবাদ জেলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘মাদক ও প্রসাধনী’ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সোমবার তাকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, পুলিশ মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি নতুন ধরণের মাদকচক্রের হদিশ বা সন্ধান পেয়েছে ।

সুতি থানার এক আধিকারিক বলেন- ‘ইভলিন ভেট’ ওষুধটি মূলত গরু-ঘোড়াসহ বিভিন্ন প্রাণীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধটি কখনই মানুষের ব্যবহারের জন্য ডাক্তারদের দ্বারা মানুষের জন্য অনুমোদিত নয়। এই ওষুধটি মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে একটি ঝিমুনি ভাব তৈরি করে। খোলা বাজারে এই ওষুধের দাম প্রায় ৩০ টাকা। কিন্তু এই মাদকের ‘মাদক’ প্রভাবের কারণে গত কয়েক মাস ধরে সুতি ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার যুবকরা হেরোইন ও বিশেষ ধরনের কাশির সিরাপ ছেড়ে শরীরে ‘ইভলিন ভেট’ ইনজেকশন দিচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ‘মাদক’ হিসেবে এই ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৩০ টাকা দামের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়। এর সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী এই ওষুধের কালোবাজারি শুরু করেছে। সম্প্রতি একটি মামলার তদন্তের জন্য একটি বাড়িতে গিয়ে সেখানে ‘ইভলিন ভেট’-এর বেশ কিছু খালি বোতল পাওয়া যায়। তখন জানা যায় , এই ওষুধটি বর্তমানে মাদক হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওষুধের একটি শিশি একটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে দুবার ইনজেকশন করা যেতে পারে। যার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী। ফলে সস্তায় মাদকদ্রব্য হিসেবে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ মাদকের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

অপরদিকে, অন্য একটি ঘটনায় রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুতি থানার পুলিশ ইসলামপুর বাগানে এলাকা থেকে দুলাল হোসেন নামে এক যুবককে ১০৮ বোতল কাশিসহ আটক করে । গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা গেছে ।