মালদহের বিগ বাজেটের অন্যতম সর্বজয়ী ক্লাবের পূজায় গ্রাম বাংলার প্রকৃতির ছোঁয়া

Newsbazar24:মালদহ শহরের বিগ বাজেটের পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম মনস্কামনা পল্লীর সর্বজয়ী ক্লাব। পুজোর কয়েকদিন দর্শক সমাগমে টেক্কা দেয় অন্যান্য ক্লাব গুলোকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ক্লাবের পূজো নিয়ে মালদহ তথা আশেপাশের জেলার মানুষদের মনেও একটা কৌতুহল থাকে এবার সর্বজয়ী ক্লাবের প্রতিমা বা মণ্ডপসজ্জা কিভাবে হচ্ছে এবং তাদের থিম কি?সর্বজয়ী ক্লাবের পূজা মন্ডপের মন্ডপসজ্জার কাজ জোর কদমে চলছে। মন্ডপ সজ্জায় রয়েছেন ইয়ার সমুদ্রগড়ের শিল্পীরা।
এবারের সর্বজয়ী ক্লাবের দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন সান্যাল ও সোমনাথ কুন্ডু জানান এবারে আমাদের থিম ‘প্রাণ প্রকৃতির টানে’। গ্রাম বাংলার প্রকৃতির যে টান অর্থাৎ গ্রাম বাংলার প্রকৃতির জিনিস নিয়ে আমাদের এবার মণ্ডপসজ্জা হবে। এবার আমাদের পুজো ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। বাংলার প্রাকৃতিক জিনিসটাকে তুলে ধরা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র শিল্পীদের কাজকে জনমানষে তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। নদীয়া জেলার সমুদ্রগড়ের শিল্পীরা মন্ডপ শয্যার কাজে ব্যস্ত। পাশাপাশি মানুষের কাছে আমরা এই বার্তা দিতে চাই সাম্প্রতিককালে যে ঘটনা নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে আরজিকর নিয়ে অবশ্য শুধু আরজিকর নয় গোটা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে নারী লাঞ্ছনা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে একদিকে যেমন আমাদের প্রতিবাদ চলবে অন্যদিকে উৎসবের আনন্দও চলবে। কারণ এই শারদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পেশার বহু মানুষের কিছু অতিরিক্ত রুজি রোজগার হয় সেদিকে তাকিয়েই আমরা আবেদন করব দুটোই পাশাপাশি চলুক। নদীয়ার সমুদ্রগড় থেকে আগত মন্ডপ শিল্পীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখানে হোগলা পাতা থেকে তার টিস্যুটাকে বের করে বিভিন্ন ডিজাইনে তৈরি করা হয় পাশাপাশি যেহেতু বর্তমানে সরকার থার্মোকল নিষিদ্ধ করেছেন তাই থার্মোকলের বদলে আমরা ফোম ব্যবহার করেছি যেগুলো গদির কাজে ব্যবহার করা হয়। এগুলোকেও কেটে কেটে বিভিন্ন আকার দেওয়া হয়। এখানে ময়ূর বিভিন্ন পাখি জন্তু-জানোয়ার ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে যেগুলো প্রকৃতির অঙ্গ। তিনি আরো বলেন দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে আমি এই পেশার সাথে যুক্ত ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্যান্ডেলে কাজ করেছি প্রতিবছর। এই প্রথম মালদায় সর্বজনীন ক্লাবের আমন্ত্রণে আমরা এসেছি শিল্পের বিভিন্ন রূপ তুলে ধরার জন্য। আশা করি মানুষ আমাদের এই শিল্পী কর্ম দেখে আনন্দ পাবেন।