ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিত মৃত তরুণী চিকিৎসকের, সিট গঠন কলকাতা পুলিশের

Newsbazar24:আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে । শুক্রবার দিনভর প্রাথমিক তদন্তের পর ধর্ষণ করে খুনের তত্ত্ব উঠে আসছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সূত্রে জানা গেছে তদন্তে চাঞ্চল্যকর বিষয় নজরে আসছে গোয়েন্দাদের। যৌনাঙ্গে ক্ষত, চোখ দিয়ে বেরিয়েছে রক্ত। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাত ৩টে থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। ছাত্রীর গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সাধারণত গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হলে এরকমভাবে হাড় ভাঙার ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে সেধরনের কিছু হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তাররা জানিয়েছেন,শরীরের অন্তর্বাস পড়া ছিল পাশে। ছেঁড়া ছিল জামা।অর্ধনগ্ন অবস্থাতে পড়ে ছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। নিহতের মুখ থেকে রক্ত বার হচ্ছিল, নিহতের ঘাড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন। আঘাত ছিল ডান হাতের অনামিকায়।
অর্থাৎ ধর্ষণ করে খুন ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেটাই অনুমান।
মৃত চিকিৎসকের বাবা যে অভিযোগ করছিলেন সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল। এদিকে ময়না তদন্তের পর হাসপাতাল থেকে দেহ রীতিমতো হাইজ্যাক করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁর বাবা-মাকে দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত চিকিৎসকের মা-বাবা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের দেখতে দেওয়া হল না মেয়েকে।
এমন রোমহর্ষক ঘটনার কিনারা করতে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ। ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। আপাতত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকার পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। মৃতদেহটিকে কেন হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়া হলো প্রশ্ন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের।