ময়না তদন্ত শেষে দেহ পেতে ভোগান্তি কমাতে বসা হল বৈঠকে

NEWS BAZAR24:
অস্বাভাবিকভাবে নাকি দুর্ঘটনায় কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটি জানার জন্যই ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়েছিল, সেই দেহ হাতে পেতে হয় হয়রানি। এমনই অভিযোগ উঠেছে কিছুদিন আগে। মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের তার ফলে পরিজনদের সেই দেহ পেতে শিকার হতে হল হয়রানির।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, লালবাজারের পক্ষ থেকে এবার একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বানানোর পরিকল্পনা চলছে, যাতে ময়না তদন্তের পর খুব সহজেই মৃতদেহ গুলোকে তার পরিবারের হাতে দেওয়া যায়। এছাড়া যে মর্গ গুলিতে ময়নাতদন্ত করা হয় সেখানে আলাদা করে আরো শাখা খোলা যায় কিনা সে ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রের খবর ময়নাতদন্তের পরবর্তীকালে তো দেহগুলিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর্যন্ত অনেক প্রক্রিয়া থাকে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেক থানা যুক্ত থাকে, সুতরাং সমস্ত ধাপ পেরিয়ে সেই দেহকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে বেশ সময় লাগে। সেই কারণে অভিযোগ ওঠে মৃতদেহ গুলি দেরিতে দেওয়ার।

এই কারণেই, যে সমস্ত থানা এলাকায় হাসপাতাল বা মর্গ রয়েছে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে লালবাজারের পুলিশ কর্তারা শুক্রবার একটি বৈঠক করেন। নগরপাল বিনীত গোয়েলের নির্দেশে এই বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত হন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। খবর সূত্রে জানা যায় এই প্রক্রিয়াকে কিভাবে সহজ করা যায় সেই বিষয়ক পরামর্শ চাওয়া হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে।

এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন ,ময়নাতদন্তের পরে সেই দেহ পেতে পেতে পরিজনদের অনেক সময় লাগে, যার কারণে নানা অভিযোগ ওঠে। সেই সময় যাতে কম করা যায় সেটাই এবার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।