মমতা দেখা করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের সাথে ! বিকেলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে

news bazar24: তিনি এখন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। কিন্তু অসন্তোষ রয়ে গেল গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের মনে। শোনা যায়, বিজেপির সঙ্গে অনন্ত মহারাজের সম্পর্ক হয়েছিলো তাঁর দাবিকে কেন্দ্র করে, যার মধ্যে একটি ছিল আলাদা রাজ্যের দাবি।
কিন্তু পৃথক রাজ্য জোটেনি অনন্ত মহারাজদের। এমনকী পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও মেলেনি। এমন অবস্থায় এবার একরাশ আক্ষেপ উগরে দিলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজ। আরও একবার সরব হলেন পৃথক রাজ্য কিংবা অন্ততপক্ষে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে।

লোকসভা নির্বাচনে কোচ বিহারে গতবারের জিতা আসনে হেরেছে বিজেপি। সবুজ ফুল যেমন ফুটেছে তেমনি উড়ছে সবুজ আবির । গোটা উত্তরবঙ্গ গোটা উত্তরবঙ্গে গেরুয়া আবির উড়লেও, বিজেপির থেকে কোচবিহার ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।

লোকসভা নির্বাচনের পর মঙ্গলবার কোচবিহারে গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাহলে কি এখানে নতুন কোনও সমীকরণের ইঙ্গিত? যদিও এই নিয়ে প্রশ্নে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি অনন্ত মহারাজ বা মুখ্যমন্ত্রী ।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ বলেছেন, “বিজেপি সরকারের দেওয়া একটি প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়িত হয়নি। একটিও কার্যকর হয়নি । রাজ্যের সংবিধানে কোচবিহার ছিল। সি ক্যাটাগরির রাজ্য ছিল।

কীভাবে এই সি ক্যাটাগরির রাজ্য বি ক্যাটাগরির হল? আমরা সেটা জানতে চেয়েছিলাম।” অনন্ত মহারাজের দাবি, তিনি আলাদা রাজ্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তাদের বলা হয়েছিল যে এটি কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত অঞ্চল হয়ে গেলে আরও ভাল হবে। তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি নজরদারি করতে পারবে। কিন্তু ভোট শেষ হলেও এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে মুখ খুললেন না।

এখন বর্ষীয়ান এই নেতা সমালোচনার সুরে বলছেন, “ভোট ঘোষণা হয়েছে, ভোট হয়েছে… কিন্তু কেন্দ্র শাসিত রাষ্ট্র গঠন হয়নি। যদিও এটি এটি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ছিল। অমিত শাহ আমাকে বলেছেন যে তিনি বিষয়টি দেখছেন। তবে ফলাফল কী তা আমি জানি না।”
গ্রেটার নেতা আরও দাবি করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস, একটি দল , একটি পৃথক রাজ্যের বিরুদ্ধে হতে পারে, তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আমরা নয়।
আমরা পৃথক রাজ্য চাই। পৃথক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের দাবির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এটিকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হলে এখানকার মানুষের সার্বিক উন্নয়ন হতো। এখানে সরাসরি তহবিল বিনিয়োগ। কিন্তু তা হয়নি। আমাদের এই দাবি চলতে থাকবে।