মন্দারমণিতে বুলডোজার চলতে দেওয়া হবে না, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে কড়া নির্দেশ মমতার

news bazar24 ঃ শুধু দীঘা নয়, মন্দারমণিও ভ্রমণ-ক্ষুধার্ত বাঙালিদের কাছে খুবই জনপ্রিয় জায়গা। এক-দুই দিনের ছুটিতে অনেকেই মন্দারমণি বেড়াতে যান। তবে মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। হোটেলগুলো বেআইনিভাবে গড়ে তোলার অভিযোগ এনে এ আদেশ দেন জাতীয় পরিবেশ আদালত। এদিকে ওই আদেশ আসতেই বিপাকে পড়েছেন হোটেল মালিকরা। এবার সেই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্ন সূত্রে খবর, মন্দারমণি ও তার সংলগ্ন এলাকার হোটেলগুলি ভেঙে দেওয়ার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী হতবাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও বুলডোজার চালাতে দেওয়া হবে না। তাঁর দাবি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর সিআরজেডের (কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি) জেলা কমিটি মন্দারমণি ও সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসোর্ট ও হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। 20 নভেম্বরের মধ্যে ওই সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার এবং এলাকা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে হোটেল নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ণ মেদিনীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পূর্ণেন্দু মাজি।

2022 সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত এই অবৈধ হোটেলগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে যে এই হোটেলগুলি উপকূলীয় নিয়ম না মেনেই তৈরি করা হয়েছিল। এর মধ্যে শুধু দাদনপত্রবারেই ৫০টি, সোনামুইতে ৩৬টি এবং সিলামপুরে ২৭টি হোটেল রয়েছে। তালিকায় মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ ছিল। পরিবেশ আদালতের নির্দেশে এগুলো ভেঙে ফেলা হবে। তবে তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই না ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন, তাহলে দেখা যাক কোন দিকে জল বয়ে যায়।