ভাঙছে ফ্রান্সের সমান আয়তনের হিমশৈল ! পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানিরা

news bazar24 : পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধির জেরে একেবারে আশ্চর্য করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে প্রকৃতিতে। গবেষকরা জানিয়েছেন, আন্টার্কটিকায় বিশাল এক বরফের স্তুপ, যার পোশাকি নাম রস আইস শেল্ক এবং যার আয়তন ফ্রান্সের আয়তনের সমান, সেটি প্রতিদিন একবার কিংবা দুবার কয়েক সেন্টিমিটার করে এগিয়ে চলেছে। এর পিছনে রয়েছে হুইলিয়ানস নামের বরফের নদীর ভূমিকা। মাঝে মাঝে বরফের স্রোত আটকে যায় ওই নদীতে। পরে বিপুল ধাক্কা দিয়ে এগোয় সেই স্রোত। সেই ধাক্কায় এগোতে থাকে রস আইস শেল্ষ। ফলে রস আইস শেল্ফের স্থায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে।

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার-এ এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। একটি পোর্টাল সুত্রে এ খবর পাওয়া গেছে। সাধারণত হিমবাহগুলি এগোয় ধীর গতিতে। অন্যদিকে, হুইলিয়ানস বরফের নদীটি এগোচ্ছে থামা ও এগোনোর মধ্যে দিয়ে। বরফের স্ত্ুপের নীচে পর্যাপ্ত জল না থাকায় মাঝে মাঝেই স্রোত থেমে যাচ্ছে। তারপর হঠাৎকরে ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। এটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনেকটা ভূমিকম্পের মতো যা রস আইস শেল্ফকে বারে বারে ধাকা দিয়ে দুর্বল করে ফেলছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এর ফলে রস আইস শেল্ফটাই আলগা হয়ে যেতে পারে। সাধারণত এ ধরনের বরফের স্তুপগুলি বাধা হিসাবে কাজ করে এবং হিমবাহের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে। বরফের নদী সমুদ্রে গিয়ে মেশার গতিও হাস করে। তবে এখনকার এই পরিস্থিতির কারণে যদি রস আইস শেলফ দুর্বল হয়ে পড়ে ভেঙে যায়, তাহলে বরফ গলবে আরও বরফের স্তুপে ফাটল এবং ভূমিকম্পের মতো বরফকম্পও সাধারণ ঘটনা। তবে রস আইস শেল্ফে কী ঘটছে, সেদিকে নজর রাখা হবে। বিজ্ঞানীদের কথায়, এখন বোঝা যাচ্ছে যে আ্যান্টার্কটিকার বরফের চাদরের চরিত্র খুবই জটিল। জলবায়ু পরিবর্তন বরফের চাদরের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে, সেদিকে নজর রাখবেন বিজ্ঞানীরা।