বিবাহিত গৃহ শিক্ষকের কুকীর্তি সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী

 উত্তম বিশ্বাস, Newsbazar 24:দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। বিবাহিত গৃহ শিক্ষকের মোবাইলে আপত্তিকর ছবি জোর করে দেখানো হতো ছাত্রীকে। এমন কি কুপ্রস্তাব এবং বিয়ে করারও চাপ দিয়েছিল ওই গৃহশিক্ষক বলে অভিযোগ। অবশেষে ওই গৃহ শিক্ষকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলো দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে হবিবপুর থানার আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গা এলাকায়। রবিবার রাতে ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে । ক্ষিপ্ত একাংশ গ্রামবাসীরা ওই গৃহ শিক্ষকের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পরে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় হবিবপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতেই ওই গৃহশিক্ষককে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। সোমবার সকালে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক নন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ছাত্রীকে নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , মৃত ছাত্রীর নাম কবিতা রায় (১৬) । হবিবপুরের স্থানীয় একটি হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে পাঠরত ছিল। এবছর তার মাধ্যমিক দেওয়ার কথা। এলাকারই নন্দন মন্ডল নামে একজন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তো ওই ছাত্রী। কিন্তু ওই গৃহশিক্ষক বিবাহিত হলেও ছাত্রীকে নাকি ভালোবেসে ফেলে, এরপরই বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এমন কি ওই গৃহশিক্ষক ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েও তাকে বিয়ের কথা বলে। এছাড়া পড়তে গেলে মাঝেমধ্যেই ওই গৃহ শিক্ষক মোবাইলে আপত্তিকর ছবি দেখাতো ছাত্রীকে বলে অভিযোগ। এনিয়ে মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েছিলেন দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। সোমবার রাতে বাড়ির লোকেদের অলক্ষ্যে শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়েই আত্মঘাতী হয় ওই ছাত্রী।
এই ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা গৃহ শিক্ষকের এহেন আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে রাতেই বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হবিবপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক অভিযোগে ওই গৃহ শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায় সোমবারের দিন ওই গৃহ শিক্ষককে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।