‘বিনীত-বিদায়’ গুজব!পুলিশ কমিশনারকে কোন ভাবেই সরাচ্ছে না মমতা সরকার, জানিয়ে দিলো নবান্ন

news bazar24: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে অবিলম্বে অপসারণ করা হবে না। দুদিন আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে বিনিত গোয়েল যাচ্ছেন। পুলিশ কমিশনারকে এখন সরে যেতে হবে, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার। তিনি কার্যত আগে থেকেই পুলিশ কমিশনারের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, শীর্ষ স্তরে বিষয়টি নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, এখন বিনীত গোয়ালকে সরানো মানে বিরোধীদের চাপের কাছে মাথা নত করা। বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? আরজিকরের ধর্ষণ ও হত্যার তথ্য চাপা দিতে তিনি কোনো ভূমিকা নেননি। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করার পর প্রশাসন সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে সরিয়ে দিয়েছে এবং একের পর এক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাই হাসপাতালে দুষ্ট দল ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পুলিশ কমিশনারকে সরানোর প্রশ্নই ওঠে না, রাজ্য সরকার কার্যত আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থায় আন্দোলনকারীরা কী করবে?
এর উত্তরে অনেকেই তাকিয়ে আছেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। সুপ্রিম কোর্ট যদি পুলিশ কমিশনারের ব্যাপারে কোনও পর্যবেক্ষণ রাখে, তখন পরিস্থিতি আবার পর্যালোচনা করা যেতে পারে। তবে আপাতত সরকার মনে করছে পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ মানে বিরোধীদের আরও রক্তের স্বাদ দেওয়া। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।
এ অবস্থায় আন্দোলনকারীরা কী করবে?
সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনেকেই মনে করেন যে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কী হয় এবং সিবিআই কী তথ্য নিয়ে আসে তার উপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে।
এদিকে, চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেক ব্যানার্জির। চিকিৎসার জন্য তাকে দুই থেকে তিন মাস সেখানে থাকতে হবে। তবে এ অবস্থায় যেতে দেরি করেছেন তিনি। সাংগঠনিক কাজ সামলানোর পর চলতি মাসের শেষের দিকে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিদেশে যাবেন তিনি।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। ছয়টি বিধানসভা উপনির্বাচন, বিভিন্ন জেলার উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করা হবে । সর্বোপরি জেলা সংগঠনের সভাপতি পদে সভাপতি ও জেলা সভাপতি নিয়োগ, এসব বিষয় এখন শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই কাজগুলো শেষ করে অভিষেক প্রথম সপ্তাহে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।